• মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন

রাঙামাটির হোটেল ‘সুফিয়া’কে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর

বার্তা কক্ষ / ২২৪ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০১৯

মোঃ ইরফান উল হক, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ

পর্যটকের কাছে অগ্রীম বরাদ্ধ নেওয়া কক্ষ দিতে না পারার অপরাধে রাঙামাটির বিলাসবহুল হোটেল ‘সুফিয়া ইন্টারন্যাশনাল’কে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি বরাদ্ধ বাবদ অগ্রীম নেওয়া ৬ হাজার ১২০ টাকা আগামী ৭ দিনের মধ্যে গ্রাহককে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।

বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাঙামাটি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ দন্ড দেন।

আহমুদুল হাছান নামে ঢাকার এক ট্রাভেল এজেন্সি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এ দন্ড দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিবরণের জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারী আহমুদুল হাছান ২২-২৩ ফেব্রুয়ারী একদিনের জন্য হোটেল সুফিয়ায় ৭টি কক্ষ বরাদ্ধ করেন। এ বরাদ্ধ বাবদ ৬ হাজার ১২০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে অগ্রীম পরিশোধও করেন তিনি।
কিন্তু তৎকালীন হোটেল ম্যানেজার রেজিষ্টার বইয়ে ২২ ফেব্রুয়ারীর পরিবর্তে ২২ জানুয়ারি দিনে বরাদ্ধ রাখেন। উভয়ের মধ্যে এ যোগাযোগ হয়েছিল অনলাইনের মাধ্যমে।

এ ভুলের কারণে পর্যটকদের রাঙামাটি ভ্রমণ বাতিল হয়ে যায় এবং তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ভুলের দোষ স্বীকার না করে হোটেল কর্তৃপক্ষ উল্টো গ্রাহকের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এ কথা বার্তার প্রিন্ট কপি অভিযোগের সাথে সংযুক্তি ছিল।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। পরবর্তীতে কাউকে যেন আর এভাবে হয়রানী করা না হয় সে ব্যাপারে হোটেল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছি। পর্যটনের শহরে পর্যটকরা এমন আচরণ প্রত্যাশা করে না।

অভিযানের সময় বাজার ফান্ড কর্মকর্তা এমদাদুল্লাহ ভুইয়া, জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নাসিমা আক্তার খানম উপস্থিত ছিলেন।

তবে ঘটনা ও অর্থদন্ড ব্যাপারে জানতে চাইলে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন হোটেল পরিচালক সায়েম। তিনি বলেন কোন কিছু হয়নি।

পরে মানিকছড়ি দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিএসটিআই নিষিদ্ধ করা পণ্য রাখার দায়ে রাজামিঞা স্টোরকে ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।

ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, রাঙামাটি থেকে তেমন অভিযোগ তাদের কাছে আসে না। কেউ পণ্য ক্রয়ে হয়রানীর শিকার হলে তাদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ