নিজস্ব সংবাদদাতা মহেশখালীঃ
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের বান্ডি সিকদার পাড়া গ্রামের সাবেক এম.ইউপি সদস্য আনছার ও তার “স্ত্রী” সহোদর ৩ ভাইসহ ৫ জনের নাম উল্লোখ করে আদালতে সি আর ৪৯/২০১৯ নালিশী মামলা দায়ের করেছেন নিজ পিতা।
গত ২৪ এপ্রিল ১৯ ইং মোঃ হোছাইন বাদী হয়ে কক্সবাজার জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ডাকাতির অভিযোগ এনে নিজ পুত্র সাবেক এমইউপি সদস্য আনছারসহ উল্লোখিতদের বিরুদ্ধে নালিশী মামলাটি দায়ের করেন। মামলটি আদালত আমলে নিয়ে মহেশখালী থানাকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে দায়েরকৃত লিখিত এজাহারে বাদি দাবি করেন, গত ৭ মার্চ ১৮ ইং বিকাল ৫ ঘটিকার সময় বিবাদী দল বল নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ীর আসবাব পত্র ভাংচুর করে আমার ৩য় সন্তান আবছার উদ্দিন বাঁধা প্রদান করার চেষ্টা করে। তখন আসামি গণ তাঁদেরকে মারধর করে মৃত্যুর ভয় দেখাইয়া মাটিতে বসাইয়া রাখে। এবং নগদ টাকাসহ স্বর্ণলংকার লুট করে।
অপরদিকে অভিযোগ উঠেছে আনছারের ছোট ভাই আবছার পিতার সম্পদ বেশি ভাগ ভোগ করার জন্য তার কারসাজিতে নিজ পিতাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে এ মামলাটি দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আপন ভাইপো আবুল কাছিমের ছেলে জসিম উদ্দিন। তিনি আরও বলেন বাড়ীর মালামাল লুটপাট তো দুরের কথা এখানে কোন কথা কাটাকাটি হয়নি। তবে আনছারের সাথে পিতার মনিমালিন্য থাকতে পারে এটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আবছার দাবার খেলাতে পঠু।
এদিকে ঘটনার সত্যতা জানতে উপজেলার মাতারবাড়ীর ২ নং ওয়ার্ড বান্ডি সিকদার পাড়া গত ২ জুন (বুধবার) তদন্ত করেছেন মহেশখালী থানার পুলিশের একটি টিম। তবে তদন্তকালে পুলিশ টিমটি ঘটনার ব্যাপারে তেমন ইতিবাচক সত্যতা পায়নি বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় মসজিদের ইমাম, সচেতন লোকজন জানিয়েছেন, অত্র এলাকায় এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
স্থানিয় এম.ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় ডাকাতি ও মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। এজহারের ডাকাতির বিষয়ে স্থানীয়দের জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন এটি অহেতুক বাড়াবাড়ি।
ভুক্তভোগী আনছারুল করিমের অভিযোগ অসুস্থ পিতাকে সম্পদ লোভী ভাইয়েরা জোর করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছেন। তিনি জোর দাবি করে বলেন, এলাকার একজন নিরহ মানুষ, সচেতন মহল ও জনপ্রনিধি যদি আমার বিপক্ষে বলেন তবে আমি নিজে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবো। তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু দতন্তের মাধ্যমে দোষী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
মহেশখালী থানার ওসি তদন্ত সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।