• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের বিদায় বেলায় – আবুল হাসেম

নিউজ রুম / ১৭ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০

৩০ শে জুন ২০২০ ইং,দক্ষিণ চট্রগ্রামের বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কক্সবাজারের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীঠ, কক্সবাজার সরকারি কলেজের বর্তমান প্রিন্সিপাল প্রফেসর এ.কে.এম. ফজলুল করিম চৌধুরীর সরকারি চাকরীর শেষ দিন। ৩০ তারিখের পর হতে তিনি অবসরে যাবেন। উল্লেখ্য তিনি গত ১৫/০৪/২০১৩ ইং তে কক্সবাজার সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ৩০ জুন ২০২০ ইং তিনি অবসরে গেলে অত্র কলেজে তার চাকরির সময়কাল হবে ০৭ বছর ০২ মাস ১৫ দিন। তিনি কক্সবাজার সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর হতে, অত্র কলেজে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। অন্যান্য জায়গায় চাকরিকাল ও অনন্য মূল্যবান গুনাবলীঃ এর আগে স্যার কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ হতে ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত ০১ বছর ০৩ মাস ০৮ দিন অধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন। এতে করে কক্সবাজার জেলার দুইটি সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে স্যারের মোট চাকুরিকাল ০৮ বছর ০৫ মাস ২৩ দিন। অর্থাৎ মোট চাকরিজীবনের এক চুতর্থাংশের বেশি সময় এ দু’টি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সরকারি চাকুরিতে প্রথম যোগদান করেন ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে। সেখানে তিনি ২৯ জানুয়ারি ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে ৭ম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৮ স…

কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের বিদায় বেলায় —–, আবুল হাসেম।
৩০ শে জুন ২০২০ ইং,দক্ষিণ চট্রগ্রামের বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, কক্সবাজারের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীঠ, কক্সবাজার সরকারি কলেজের বর্তমান প্রিন্সিপাল প্রফেসর এ.কে.এম. ফজলুল করিম চৌধুরীর সরকারি চাকরীর শেষ দিন। ৩০ তারিখের পর হতে তিনি অবসরে যাবেন। উল্লেখ্য তিনি গত ১৫/০৪/২০১৩ ইং তে কক্সবাজার সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ৩০ জুন ২০২০ ইং তিনি অবসরে গেলে অত্র কলেজে তার চাকরির সময়কাল হবে ০৭ বছর ০২ মাস ১৫ দিন। তিনি কক্সবাজার সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর হতে, অত্র কলেজে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।
অন্যান্য জায়গায় চাকরিকাল ও অনন্য মূল্যবান গুনাবলীঃ
এর আগে স্যার কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০ হতে ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ পর্যন্ত ০১ বছর ০৩ মাস ০৮ দিন অধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন। এতে করে কক্সবাজার জেলার দুইটি সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে স্যারের মোট চাকুরিকাল ০৮ বছর ০৫ মাস ২৩ দিন। অর্থাৎ মোট চাকরিজীবনের এক চুতর্থাংশের বেশি সময় এ দু’টি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি সরকারি চাকুরিতে প্রথম যোগদান করেন ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে। সেখানে তিনি ২৯ জানুয়ারি ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
পরবর্তীতে ৭ম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৩০ জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষা ক্যাডারে তাঁর মোট চাকুরিকাল হলো ৩২ বছর ০৫ মাস ০১ দিন।
এ দীর্ঘ চাকরিজীবনে তিনি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, সিলেট এম.সি কলেজ, হাজী মুহম্মদ মহসীন কলেজ, রাঙ্গামাটি কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষকতা করেছেন।
প্রশাসনিক পদে তিনি কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রামে প্রেষণে সচিব হিসেবে এবং সর্বশেষ কক্সবাজার সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদ হতে ৩০ জুন ২০২০ তারিখ পিআরএল-এ গমন করছেন।
শিক্ষকতা জীবনে অনেক মেধাবী, জ্ঞানী-গুণি শিক্ষার্থী সৃষ্টি করেছেন তিনি। যারা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আঙ্গিকে দেশসেবায় নিয়োজিত আছেন ।স্যার যেখানেই চাকরি করেছেন আন্তরিকতা, মমত্ববোধ, প্রেম-ভালবাসা, নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। সফলতা এবং ব্যর্থতার হিসাব শিক্ষার্থী, সহকর্মী, চলার সাথী কর্মচারী, সুশীল সমাজের উপর অর্পন করা গেল। আসলে স্যারের বিদায় বেলা যদি করোনাভাইরাসের কাল না হত তবে কক্সবাজারে হাজারো শ্রেণি পেশার মানুষ স্যার কে নানা রকম অনুষ্ঠান করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দিত। সত্যিই তখন নানা রং বেরংয়ের নানা অনুষ্ঠান দেখা যেত।
কয়েকটা কাজ তিনি কখনোই করেন নি,যেমন-
*দীর্ঘ চাকরি জীবনে কোনদিন ১ মিনিট বিলম্বে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করেন নি;
*কোন সভা সেমিনারে ১ মিনিট বিলম্বে গমন করেন নি।
*দুই ঈদের দুই দিন এবং সাথে আরো দুই দিন, অর্থাৎ মোট ৪ দিন ব্যতীত কর্মস্থলের বাইরে থাকেন নি।
*চাকরি জীবনের ১ম দিন থেকে ১২ ঘন্টার কম কখনো কাজ করেন নি।
*এই দীর্ঘ চাকরি জীবনে বিনাকরণে অত্যন্ত প্রয়োজন ব্যতীত একদিন ছুটিও ভোগ করেন নি।

এই দীর্ঘসময়ে এ জেলার দু’টি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত থাকাকালীন সহকর্মী, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ইত্যাদির নিকট স্যার প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি ছিল।

তাঁর সময়কালে অত্র কলেজের অর্জন বা উন্নয়নকাজ সমূহঃ
ইতিমধ্যে ৬০ লাখ টাকায় বাণিজ্য ভবনের উর্ধমূখি সম্প্রসারণ (দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা) হয়েছে। ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকায় নির্মিত হয়েছে ছয়তলা বিশিষ্ট শেখ হাসিনা ছাত্রী নিবাস। ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকায় হয়েছে নতুন একাডেমিক ভবন। বিজ্ঞান ভবন, জীববিদ্যা ভবন দুইতলা থেকে উন্নিত হয়েছে চারতলায়।শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হয়েছে শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তন। বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের ধ্যানজ্ঞান প্রসারে হয়েছে বিজ্ঞান ক্লাব।শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চর্চার জন্য তৈরি হয়েছে বিজ্ঞান চত্বর। এছাড়াও কলেজটি পাঠদানের অগ্রগতিতে কক্সবাজার জেলায় সাড়া জাগানো কলেজ। প্রতিবছর এইচ.এস.সির রেজাল্টেও কলেজটি জেলায় ১ম স্থান অধিকার করে। এছাড়া ইতিপূর্বে অত্র কলেজের ৩ জন শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বি.এস.সি অনার্স রেজাল্টে সারা বাংলাদেশে পরপর ২ বার ১ম স্থান ও ১ বার ২য় স্থান অধিকার করে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে স্বর্ণ পদক লাভ করেন। সবুজের সমারোহ ঘটাতে তিনি রোপন করেন নানা রকম বৃক্ষ।
২০১২ সালে বাংলাদেশে বিলুপ্ত ঘটে তালিপাম্প গাছের, এ রকম দুর্লভ একটি গাছের চারা রোপন করে কলেজের সম্মুখে তৈরি হয় তালিপাম্প চত্বর। এর পশ্চিম পাশে পাম্প চত্বর। সেখানে লাগানো হয় পাম্প গাছ।
স্যার অত্র কলেজে যোগদানের আগে কলেজে বাস ছিল একটি। অধ্যক্ষ স্যার যোগদানের পর যুক্ত হয় আরও দুটি বাস। একটি ২০১৬ সালে উপহারস্বরূপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরেকটি দিয়েছে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর, ২০১৯ সালে।
ক্যাম্পাসে পুরনো যে মসজিদ-তার দৃষ্টিনন্দন কাজটুকুও হয়েছে এই লোকটার হাতে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তিনি এ মসজিদেই পড়েন ।মুসল্লিদের অজু করার জন্য মসজিদের পাশে তৈরি করে দেন অজুখানা।

বৃষ্টি হলে মাঠে জমে যায় হাঁটু পানি, তখন ফুটবল খেলা যায়না। বিভিন্ন দাতা সংস্থার সহযোগিতায় তিনি সংস্কার করলেন সেই মাঠ। এখন সেই মাঠে সবসময় খেলাধুলা চলে। বসেবসে খেলাধুলা উপভোগের জন্য মাঠে তৈরি হয় মিনি গ্যালারি।শিক্ষার্থীদের পানীয় জলের সংকট নিরসনে ক্যাম্পাসে বসানো হয় বিশুদ্ধ পানির ফোয়ারা।
শিক্ষার্থীদের টাকা লেনদেন সুবিধার জন্য ক্যাম্পাসে স্থাপন করা হয় বেসিক ব্যাংকের একটি শাখা। স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণে রয়েছে ক্যান্টিন ফুড কর্ণার।বিজ্ঞান ভবনের সামনে স্থাপন করা হয় ইটপাথরের স্থায়ী মুক্তমঞ্চ। সেই মঞ্চে চলে আড্ডা-আলোচনা, শিক্ষা সংস্কৃতি ও শিল্পের চর্চা।

স্যারের সময়কালে অত্র কলেজ ক্যাম্পাসে তেমন কোন ছাত্র রাজনীতির সহিংসতার ঘটনা ঘটে নি। সব ছাত্র রাজনীতির জোট গুলো নিরবে আত্মসচেতনতার সহিত নিজ নিজ কর্ম চালিয়ে যায়। এছাড়াও তিনি নতুন আঙ্গিকে স্বাধীনতা ভবন নামে একটা ভবন করেন। যেটিতে স্কাউট বা বিএনসিসি সেনা ( মহিলা ও পুরুষ আলাধা শাখা রয়েছে) বিএনসিসি নৌ এর অফিস করা হয়েছে। মোট কথা স্যারের আমলেই অত্র কলেজের অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে, যা সবিস্তারে বর্ণনা করা সময়ের ব্যাপার।

কলেজটির বর্তমান স্থিরচিত্র বা তথ্য বিবরণীঃ

এখন পর্যন্ত অত্র কলেজে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে মোট- ১৩ টি, বিভাগ ১৪ টি, মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে মোট- ৬ টি, ডিগ্রী পাস কোর্সঃ বি.এ. ; বি.এস.এস. ; বি.বি.এস. ;বি.এস.সি. ; সার্টিফিকেট কোর্স। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চালু রয়েছে এইচ.এস.সি ও ডিগ্রী কোর্স। বর্তমান শিক্ষার্থী মোট- ১৩ হাজার ৫০০ জন, প্রফেসর বা শিক্ষক সংখ্যা – ৬২ জন, কর্মচারীর সংখ্যা -৬০ জন, কলেজ বাস – ৩ টি।
বর্তমানে কলেজ ক্যাম্পাস কেন্দ্রীক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সমূহঃ
বিএনসিসি সেনা ( মহিলা ও পুরুষ আলাধা শাখা রয়েছে) বিএনসিসি নৌ এর ৩ টি আলাদা ইউনিট রয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভবনটিতে তাদের আলাদা আলাদা অফিস রয়েছে। আরো রয়েছে, পিস অর্গানাইজেশন ( অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা) কক্সবাজার সরকারি কলেজ ইউনিট ও বাঁধন ( স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন) কক্সবাজার সরকারি কলেজ পরিবার। পিস অর্গানাইজেশন ( অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা) কক্সবাজার সরকারি কলেজ ইউনিট, যেটির মূল লক্ষ্য হলো স্টুডেন্টস স্কিলস ডেভেলপমেন্ট মূলক কর্ম সম্পাদন করা ও সমগ্র কক্সবাজার জেলায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করা। বাঁধন, অত্র কলেজে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ২৬ শে মার্চ ২০১৯ ইং তে। কেন্দ্রীয় বাঁধন প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ অক্টোবর ১৯৯৭ ইং তে। বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন পাবলিক ইউনিভারসিটি, অনার্স-মাস্টার্স কোর্স সমৃদ্ধ বিভিন্ন কলেজে বাঁধনের, পরিবার, ইউনিট, জোন মিলে প্রায় ১৬০ টি শাখা রয়েছে। যার শ্লোগান হলঃ একের রক্ত অন্যের জীবন,রক্তই হোক আত্মার বাঁধন। অত্র বাঁধন, অত্র কলেজে কার্যক্রম শুরু করার পর হতে, কক্সবাজারে বিনামূল্য রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি, জনসচেতনতা মূলক পোগ্রাম, বিনামূল্যে রক্ত সরবরাহ ও রক্তদান কর্মসূচি, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দূর্যোগে গরীব দুঃখী মানুষের মধ্যে জরুরী ত্রাণ বিতরণ, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দূর্যোগে আত্মমানবতার সেবায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ইত্যাদি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান ভাইস-প্রিন্সিপাল মহোদয়ঃ
প্রফেসর এ.কে.এম. ফজলুল করিম চৌধুরী মহোদয়ের সাথে ২৮/০১/২০১৮ ইং হতে অত্র কলেজে ভাইস-প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করেন বর্তমান ভাইস-প্রিন্সিপাল প্রফেসর পার্থ সারথি সোম মহোদয়। তিনি যোগদানের পর হতে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে অত্র কলেজের যাবতীয় কাজে সর্বক্ষেত্রে মানোন্নয়নে সহযোগী শক্তি হিসেবে আন্তরিকতার সাথে অদ্যাবধি কর্মরত রয়েছেন। স্যার ও একজন নম্র,ভদ্র, উদার ও খুবই অল্পভাষী উদ্যমী ব্যক্তি।
৩১/১০/১৯৮৮ ইং হতে তিনি প্রভাষক হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজে চাকরি জীবন অতিবাহিত করে বর্তমান স্থরে আসেন। কক্সবাজার সরকারি কলেজে যোগদানের আগে স্যার সরকারি এম.এম. কলেজ, যশোরে পদার্থ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। উপাধ্যক্ষ মহোদয় জানান, অধ্যক্ষ স্যারের অনুপস্থিতিতে সৃষ্টি হওয়া শূন্যতায় আমি পূর্ণতা দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
প্রতিবেদকের মন্তব্যঃ
বর্তমান প্রিন্সিপাল স্যারের অবসরে যাওয়া নিয়ে সমগ্র কক্সবাজার জেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পেইজবুক ও অনলাইনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। স্যারের বিদায় বার্তায় সবাই মর্মাহত ; স্বজন হারানোর আর্তনাদের মত এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা স্যার কে হারিয়ে এক নম্র,ভদ্র, উদার,মহৎ ব্যক্তিকে হারাতে যাচ্ছি। যিনি সবার কাছে অনুকরণীয় এক মহান আদর্শ ছিলেন। আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে স্যারের সু-স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সফলতা কামনা করি। যেখানেই যাই আল্লাহ স্যারকে সফলকাম করুণ। পরিশেষে আল্লাহর কাছে আরো প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন স্যারের শূন্যতায় পূর্ণতাদানকারী এক মহা জনকে অধ্যক্ষের আসনে অধিষ্ঠিত করেন।

লেখকঃ আবুল হাসেম।
বি.এস.সি ( অনার্স), ৩য় বর্ষ, উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগ ;
কক্সবাজার সরকারি কলেজ।
সদস্য সচিব : বাঁধন, কক্সবাজার সরকারি কলেজ পরিবার।
কক্সবাজার প্রতিনিধি, চ্যানেল সিক্স ও এনবি টিভি বাংলাদেশ।
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিঃ পিস অর্গানাইজেশন (অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা) কক্সবাজার।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ