নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী চলতি বর্ষার মৌসুমেও কয়েকটি স্থানে চলছে পাহাড় কাটার মহা উৎসব। পাহাড় কাটার বিষয় সরজমিন পরির্দশন করে নীরবতা পালন করে ধলিরছড়া/পারিছড়া বিট কর্মকর্তা বশির আহমদ। ভারুয়াখালীর ছোট/বড় পাহাড় ধ্বংসের পথে। এখানে যত পাহাড় কাটা হয় সব স্থানে এই বিট কর্মকতা যায় কিন্তু যাওয়ার পর সুবিধা গ্রহন করে নীরব থাকে। এটার বাস্তব প্রমাণ ভারুয়াখালী নানামিয়া পাড়া পাহাড় খেকো স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি মৌঃ ইউনুচ এর নেতৃত্বে ওই স্থানে ১৫/২০ জন লোক দিয়ে প্রায় একমাস ধরে দিন/রাত মাটি কেটে সাবাড় করছে। ঐ অসাধু ধলিরছড়া বনবিট অফিসার বশির আহমদ কিছু দিন আগে সরজমিনে গিয়েছিল পাহাড় কাটার দৃশ দেখার পরও নীরব, ঘটনা স্থানে বিট কর্মকর্তা আসার পরও ঘুমিয়ে আছে কেন স্থানীয়দের প্রশ্ন?
ঐ বিষয়ে জানতে বিট অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি ব্যবস্থা নেবে নেবে বলে আশ্বাস দিয়ে নীরবতা পালন করে আসচ্ছে প্রায় একমাস। তাহলে নীরব থাকছে কেন বিট অফিসার বুঝে নেয়া একদম সহজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানায়, ইউনুচ পাহাড়ের চওড়া বিলীন করে সমতল ভূমি তৈরির কাজ করছেন দির্ঘদিন ধরে। ১৫/২০ জন শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটছে যেন চোখে পড়ার মত।
সরজমিনে দেখা গেছে, ইউনুচের বাড়ির দক্ষিন পাশে সীমানার নিচের দিকে খননকৃত মাটিগুলি ফেলছে। নিঃসরিত হয়ে ওই মাটি গড়িয়ে চলাচলের রাস্তায় ব্যাঘাত হচ্ছে বলে সাধারন লোকজন অভিযোগ করছে। ওই ব্যক্তি প্রায় এক মাস যাবৎ পাহাড় কাটছে এবং পাহাড়ের চওড়া সমতল করেছে। আবার পূর্নরায় মাটি কাটছে। এইখানে বৃষ্টির পানির সাথে মাটি নিঃসরণ হয়ে রাস্তাটি মধ্যে কাদামাটি উপক্রম দেখা দিয়েছে। পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে।
এদিকে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলেও নেই কোনো আইনগত ব্যবস্থা। স্থানীয় লোকজন এ পাহাড় কাটার জন্য বনবিভাগকে দায়ী করছেন। তারা দেখলেও না দেখার বান করে থাকছে।
দেখা যায়, ঐ রকম কয়েটটি স্থানে পাহাড় কাটা অব্যহত থাকছে, ভারুয়াখালী বাজার সংলগ্ন সর্বোচ্চ যে পাহাড় বিলিন হতে চলছে, আনুর দোকানের রইস্যবারের মুরা নামে পরিচিত পাহাড়, আরেক নাম করা পাহাড় ঘোনাপাড়া কড়ির পাহাড় ধংসের পথে। এই উল্লেখ্য পাহাড় ছাড়া, আরো ভারুয়াখালী অনেক পাহাড় পশ্চিম পাড়া, হাজির পাড়া, ঘোনার পাড়া, সাফলাইমুরা, উল্টাখালী, চৌধুরী পাড়া চলতি বছরে ৫০টিরও উপরে পাহাড় নিধন করা হয়ছে এবং হচ্ছে। প্রায় স্পটে উক্ত বিট কর্মকর্তা গিয়ে ছিল এর প্রমান মিলছে। যাওয়ার ২/১ দিন পর আরো দিগুন গতিতে মাঠি কাটা হয় বলে জানাযায়। প্রায় পাহাড় ডেম্পার/পিকাপ দিয়ে মাঠি কাটে। ভারুয়াখালীর জনমনে প্রশ্ন, পাহাড় কাটলে পরিবেশের ক্ষতি হলে, পিকাপ/ডেম্পার দিয়ে বছরকে বছর এভাবে মাটি কাটতে থাকলে পরিবেশ দূষন হয়না ক্ষতি হয় না?
গুপন তথ্যভিত্তিতে যতটুকু জানতে পারি পিকাপ/ডেম্পার মালিক ঐ অসাধু বনকর্মীকে ম্যানেজ করে মাটি কাটতে থাকে। এছাড়া এর বিরোদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে, সামাজিক বনায়নের গাছ কেটেছে ধরা পড়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেই এবং এর সহযোগিতায় ভারুয়াখালীতে সারা বছর অবৈধ কাঠ দিয়ে ফিসিং বোট তৈরি করে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে জানতে, মেহেরঘোনার রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনকে কল দিলে মোবাইল রিসিভ না করাতে কথাবলা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে কক্সবাজার বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণে করার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Channel Cox News.
উপদেষ্টা সম্পাদক : সরোয়ার আজম মানিক, সম্পাদক ও প্রকাশক : মনছুর আলম,
অফিস : হোটেল আল-আমিন কমপ্লেক্স, ৩য় তলা (দৈনিক মেহেদী ) মেইন রোড,, কক্সবাজার।