• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন

স্বামীকে তালাক দিয়ে আলোচিত ইউএনও নূর এ জান্নাত রুমীকে রংপুরে বদলী l ChannelCox.Com

নিউজ রুম / ২৩ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বামীকে তালাক দিয়ে থানায় জিডি করে আলোচিত ও বিতর্কিত লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর এ জান্নাত রুমীকে রংপুরে বদলী করা হয়েছে।

রবিবার (১২ জুলাই) রাষ্ট্রপ্রতির আদেশক্রমে তাকে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইউএনও নুর এ জান্নাত রুমী লামাসহ পুরো বান্দরবান জেলায় আলোচিত নাম। নিজের স্বামীকে তালাক এবং স্বামীর বিরুদ্ধে জিডি করে আলোচনা ঝড় তুলেছিন তিনি। ভালবেসেই হিন্দু থেকে মুসলিম হয়ে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিষ্ট্রার এটিএম ওমর ফারুক রুবেলকে বিয়ে করেন। ভালোই চলছিল তাদের সংসার।

স্বামী ওমর ফারুককের অভিযোগ, রুমির পরকীয়া আসক্তিই শেষ করেছে সব। লামা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সের এক ডাক্তারের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে রুমির। এরপর থেকে সংসারে সৃষ্টি হয় ঝামেলা। তবে রুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক। ঘুষ গ্রহণসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, লামার ফাইতং এলাকায় অর্ধশতাধিক ইটভাটা অবৈধভাবে চলছে বছরের পর বছর। আর ইউএনও রুমি ইটভাটা থেকে ৫ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়ে তাদের এই অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন।
অবৈধ উপার্জনে প্রতি মাসে নতুন স্বর্ণালংকার বানানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তবে স্বামীর বিরুদ্ধে রুমির অভিযোগেরও কমতি নেই। যা তিনি জিডিতি উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, সাংসারিক মনোমালিন্য এবং কর্মস্থলে অন্যায়ভাবে প্ররোচিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রলোভনপূর্বক হুমকি ধামকি প্রদর্শন করায় এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক মর্যাদা ও ভবিষ্যৎ জীবনের কথা চিন্তা করে গত ২৪ জুন রাতে আমার স্বামী এটিএম ওমর ফারুককে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক মৌখিকভাবে তালাক দেই। এতে সে ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হয়ে আমাকে হত্যা করবে অথবা নিজে আত্মহত্যা করে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়।
পরে ৬ জুলাই আমি তাকে ডাকযোগে রেজিস্টার্ড এডি সহকারে তালাকনামা প্রদান করি। তালাকনামা পেয়ে ৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে সে আমার লামা উপজেলা সরকারি বাসভবনে এসে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। প্রতিবাদ করলে সে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারতে আসে। এসময় আমার চিৎকার শুনে ঘরের কাজের বুয়া সেখানে উপস্থিত হলে কোনো রকম প্রাণে বেঁচে আমার সন্তানকে নিয়ে অন্য রুমে চলে যাই।

জিডিতে আরও উল্লেখ করেন, সময় সুযোগ বুঝে আমাকে মেরে পঙ্গু করবে। নিজে আত্মহত্যা করে আমাকে ফাঁসাবে। এমন হুমকি দিয়ে চলে যায়। সে আমার সন্তান রাহিবকে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে লুকিয়ে রেখে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ মামলা করবে বলেও হুমকি দেয়। তাই এ অবস্থায় আমার সন্তানকে বাসায় রেখে কর্মস্থলে যোগদান করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ