• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরিতে তরুণদের সম্পৃক্ততা চায় ঢাকা

নিউজ রুম / ১৯ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ২৫ জুলাই, ২০২০

ডেস্ক নিউজঃ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, শান্তি ও স্থিতিশীল বিশ্ব গঠনে বিশ্বব্যাপী তরুণদের নিয়ে তৈরি জনমতের ঢেউ ও শক্তি রোহিঙ্গাদের দুর্দশার অবসান ঘটাতে সহায়তা করতে পারে।

শনিবার ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল একটি উন্নত ও টেকসই বিশ্বের প্রচারণায় তরুণদের জড়িত করতে হবে। কেননা তারাই তা অর্জন করতে পারে।’

তরুণদের নিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জনমত তৈরি করতে ‘ঢাকা-ওআইসির ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০’ এর সুবিধা নিতে চায় বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ‘ঢাকা-ওআইসির ইয়োথ ক্যাপিটাল-২০২০’ এর উদ্বোধন করবেন। যা ওআইসি সদস্যভূক্ত দেশসহ ও এর বাইরেও দেশের যুবকদের যুক্ত করবে।

ড. মোমেন বলেন, আগামীতে তরুণরাই বিশ্ব ও ওআইসি দেশগুলোর নেতৃত্ব দেবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ইউএনবিকে বলেন, ‘যুবকরা রোহিঙ্গাদের দুর্দশার বিষয়টি বুঝতে পারলে তাদের ভবিষ্যৎ আরও ভাল হবে। তরুণরা এ বিষয়গুলো বুঝতে পারলে তাদের অভিমত ও মতামত শেয়ার করে নিতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তরুণরা সোশ্যাল মিডিয়া ও কম্পিউটার পরিচালনা করতে খুবই স্মার্ট। তারা তাদের দেশে ও দেশের বাইরেও জনমত তৈরি করে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারে।

‘ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার বিষয়গুলো পুরো বিশ্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,’ যোগ করেন তিনি।

ড. মোমেন বলেন, যুবকরাই দেশকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছে। দেশকে নেতৃত্ব দিতে চাইলে তাদের অবশ্যই জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে।

বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রস্তুতি সত্ত্বেও গত কয়েক বছর চেষ্টা করেও কাউকে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করতে পারেনি।

ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন সঞ্চালনায় যু্ব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, আইসিওয়াইএয়ের প্রেসিডেন্ট তাহা আইয়ান এ সম্মেলনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

মুসলিম বিশ্বের তরুণদের দৃঢ় ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার প্রয়াসে তরুণদের নানামুখী কৃতিত্বে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ) ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহকে ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল’ এর স্বীকৃতি প্রদান করে আসছে।

ঢাকা-ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০ এর প্রতিপাদ্য হলো ‘রিসাইলেন্স ফর প্যারিটি অ্যান্ড প্রসপারেটি’।

বছরব্যাপী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানের সাথে এটি মিলে গেছে।

২০২০ সালের মুজিব বছর উদযাপন এবং বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার ও অবদান সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী যুবকদের আলোকিত করতে বৈশ্বিক যুবকদের জন্য বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড চালু করতে যাচ্ছেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইনোভেশন, পরিবেশ, মানবতাবাদ, খেলাধূলা, সংস্কৃতি ও শিল্পকলা, উদ্যোক্তাদের অসামান্য অবদান রাখা যুবকদের এ পুরস্কার দেয়া হবে।

রেসাইলেন্ট ইয়ুথ লিডারশিপ সামিটের অংশ হিসাবে অংশগ্রহণকারীদের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার (ইউএনএইচসিআর), আইওএম এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প অন কক্সবাজার’ শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল ট্যুর আয়োজন করা হবে।

ভার্চুয়াল ট্যুরটি মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বিশ্বব্যাপী অংশগ্রহণকারীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ