• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন

এলএ অফিসের শীর্ষ দালাল বাবর চৌধুরী এখনো অধরা | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ১০ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার জেলাপ্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণের এলএ শাখার ভয়ংকর এক দালালের নাম বাবর চৌধুরী। তিনি ই যেন অঘোষিত ভাবে এলএ শাখার হর্তাকর্তা।

সূত্রে জানা যায়, বাবর চৌধুরীর ইশারায় নিখুঁত জমির ফাইলে যেমন কয়েকটি মামলা দাঁড়িয়ে যায়, তেমনি কয়েকটা মামলা থাকার পরও টাকা আটকে রাখার ক্ষমতা কারোই নেই। দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ারদের সঙ্গে মিলেমিশে জমির মালিকদের কাছ থেকে বেশি কমিশন আদায় করতে এভাবে এলএ শাখা নিয়ন্ত্রণ করেন বেপরোয়া বাবর। সে কারনে যে কজনের নাম সবথেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে তাদের মধ্যে শীর্ষে নাম রয়েছে বাবর চৌধুরীরও।

মাতারবাড়ি সিকদার পাড়ার বাদশা মিয়া চৌধুরীর ছেলে বাবর চৌধুরী মাতারবাড়ি, মহেশখালীর কয়লা বিদ্যুৎকে কেন্দ্র করে এলএ অফিসের দালালির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সে শুরু থেকে। এলএ অফিসের দালালির ভিক্তি মজবুত করতে কক্সবাজার বদর মোকাম মসজিদের সামনের ভবনে অফিস খোলে বসেন তিনি। এর পর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। বিভিন্ন সময় জমির মালিকদের সঙ্গে বির্তক জড়িয়ে পড়লেও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাননি কেউ।

সাম্প্রতিক দুদুকের অভিযানে তিনজন শীর্ষ দালাল গ্রেফতার হলেও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েগেছে বাবর চৌধুরী।

জানা যায়, গেলবার স্থানীয় নির্বাচনে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন থেকে বিএনপির মনোনীতি প্রার্থী হয়ে ধানের শীর্ষ প্রতীক নিয়ে লড়েছিলেন তিনি। তবে জিততে পারেননি। নির্বাচনী খেলায় পরাজিত হলেও এলএ অফিসের দালাল হিসেবে শতভাগ সফল বাবর ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলএ অফিসের দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাবর একাই দেড় হাজারের উপরে চেক ভাগিয়ে নিয়েছে। জমির মালিকদেরকে জিম্মি করে ১৫ থেকে ৫০%পর্যন্ত কমিশন নিয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ফলে কোটি কোটি টাকা দালালি থেকে আয় করেছেন বাবর চৌধুরী।

গ্রেফতারকৃত সার্ভেয়ার ওয়াসিম অভিযুক্ত সার্ভেয়ার ফরিদ, সার্ভেয়ার ফেরদৌস, কয়েক মাস আগে বদলী হওয়া সার্ভেয়ার কেশব লাল দে, সার্ভেয়ার সাইফুল, সার্ভেয়ার রিপন চাকমাসহ আরো কয়েকজন দুর্নীতিগ্রস্থ সার্ভেয়ার বাবর চৌধুরীর প্রধান হাতিয়ার। ভুক্তভোগী জমির মালিকদের দেয়া তথ্যমতে ৫০কোটি টাকার উপরে এলএ শাখার দালালি থেকে আয় করেছেন বাবর। বিভিন্নসময় কমিশন বাড়াতে এসব সার্ভেয়ারদের সঙ্গে আতাত করে কৃত্তিম মামলা সৃষ্টি করার অভিযোগও তুলেছে ভুক্তভোগী জমির মালিকরা।

সরজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ভূমি অধিগ্রহণের মাতারবাড়ি ১২০০একর,১৪০০একর ধলঘাটার ৭০০একর, মহেশখালী হোয়ানক, কালামার ছরা মৌজা, হেতালিয়া, চকরিয়ার রেললাইনে প্রকল্পে বাবর চৌধুরীর আধিপত্য রয়েছে সবচেয়ে বেশি। এখনো বাবর চৌধুরীর কাছে ৪০০বেশি জমির ফাইল জমা রয়েছে বলে দাবি করেছে একটি সূত্র।

সূত্রটির দাবি, বাবরের বদর মোকাম অফিস ও কলাতলীর বাসায় অভিযান চালালে শত শত ফাইল পাওয়া যাবে।

বাবর চৌধুরী বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও টাকার জোর আর আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে উঠাবসার কারনে এখনো দাপটের সঙ্গে প্রকাশ্যে কক্সবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষের দাবি, ভূমি অধিগ্রহণ এলএ শাখা হয়রানি মুক্ত ও সুনাম ফিরিয়ে আনতে বাবর চৌধুরীসহ শীর্ষ দালালদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করলেই কেবল কক্সবাজার জেলাপ্রশাসনের সুনাম ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

সে সঙ্গে দালালদের সম্পদ সরকারি কোষাগারে নিয়ে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি সচেতন মহলের।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ