• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন

মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে পানিবন্দি মানুষ, অভিযোগের আঙ্গুল ফার্ম ঘোনার দিকে | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ৭ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০

ইয়াছিন আরাফাত,মহেশখালী:

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নে বিভিন্ন সময় উপকূলবাসীর দুঃখ বাড়িয়েছে উপকূলের ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছাসে। তবে সম্প্রতি উপজেলার মাতারবাড়ী বান্ডি সিকদার পাড়া অর্থা ইউনিয়নের উত্তর প্রান্তের ১২০০ একর সিঙ্গাপুর প্রজেক্টের পাশে কোহেলিয়া নদীর লাগায়ো ফার্মঘোনার মালিকরা ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে পাশ্ববর্তী ভেঙঘোনার পানি চলাচল করতে না দেওয়ায় পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের উত্তর সিকদার পাড়া গ্রামে ঘর-বাড়ি ও মসজিদ। পানিবন্দী হয় পড়েছে ওই গ্রামের অর্ধ শতাধিক পরিবারের মানুষ। ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে মানুষ চলাচলের প্রধান মাধ্যম রাস্তা-ঘাট।

ভেঙ ঘোনার মালিক সাবেক মেম্বার আনছারুল করিম বলেন, আমার চিংড়ি প্রকল্পে পানি বেশি হওয়ায় ডুবে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট তাই পানি চলাচলের রাস্তা দিয়ে পানি কমাতে চাইলে ফার্মঘোনার প্রভাবশালী মালিকরা এতে বাঁধা দিচ্ছে। আমি পানি নামাতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, জমির মালিকদের হালসনের টাকা দিয়ে তিনি চিংড়ি প্রকল্পটি করে আসছিলেন। তবে তার চিংড়ি প্রকল্পে পলব্রোট দিয়ে সাগরের পানি বাহির করতে চাইলে প্রভাবশালী ফার্মঘোনার চক্রটি আর্থিক সুবিধা দাবি করে এবং ফার্মঘোনার অংশিদার মোহাম্মদ আলী, শকিতুল্লাহ, সদ্দার শ্রমিক নাছিরের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালী যুবক বাইতুল্লাহ ও সবুজসহ একদল লাঠিয়াল সন্ত্রাসী কায়দায় অকাথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে আমাকে মারধরের চেস্টা করে।

৫ জুলাই বুধবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয়, উত্তর সিকদার পাড়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রজেক্টের পাশে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাসকারী মৃত শাহ আলমের পুত্র নুর কবিরের সাথে আলাপকালে তিনি জানালেন, আমার থাকার কুঁড়ে ঘরটি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে, কে শুনে কার কথা। পানির কারনে রান্না পর্যন্ত হয়না মাঝে মধ্যে এমনটাই ও জানালেন তিনি।

অর্ধেক যেতে কথা হয় একই গ্রামের মোহাম্মদ কামাল ও বাহাদুরের সাথে তারা জানালেন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ চলাচলের রাস্তাটি পানি বন্দি হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এর থেকে পরিত্রান চাই সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসি।

জানাগেছে, মাতারবাড়ী সিঙ্গাপুর প্রজেক্টের জমি সরকারের পক্ষ থেকে অধিকগ্রহণ করা হলেও উক্ত প্রজেক্টের ভিতরে কিছু প্রভাবশালী মহল চলতি সনে আইনকে তোয়াক্কা না করে চিংড়ি চাষ করে যাচ্ছে। এছাড়া উক্ত সিঙ্গাপুর প্রজেক্টের বাঁধ কেটে সাগর থেকে পানি প্রকল্পে ডুকাচ্ছে প্রতিনিয়ত একটি চক্র। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষের নির্মিত বাঁধতি।

মাতারবাড়ী কোল পাওয়ারে দায়িত্বরত একজন শীর্ষ আনসার কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে আর কেউ যদি পানি চলাচল বন্ধ করে বিষয়টি অতন্ত দুঃখজনক।

এ বিষয়ে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কোল পাওয়ারে দায়িত্বরত সিকিউরিটি অফিসার শাহরিয়ার বক্তব্য নিতে তার (০১৯৬৭-৯৩৯৫৩৭) মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নি।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ