অনিন্দ্য নয়ন: রাজধানীর ওয়ারীর বনগ্রাম এলাকায় একটি বহুতল ভবনের নির্মানাধীন ফ্ল্যাটে শিশু সামিয়া আক্তার সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হারুনকে গ্রেফতার করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যরা।
রবিবার ৭ জুলাই দুপুরে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার (ডিসি) ইফতেখার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঘটনার পর হারুন পলাতক ছিল। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ তার অবস্থান শনাক্ত করে কুমিল্লার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে শিশু সামিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে হারুন।
এদিকে শিশু সায়মার বাবা আব্দুস সালাম জানান, হারুন ফ্ল্যাট মালিক পারভেজের খালাতো ভাই। সে ভবনের ৮ তলায় পারভেজের বাসায় থাকতো এবং ঠাটারিবাজারে একটা রঙের দোকানে কাজ করতো।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিখোঁজের পর রাত পৌনে ৮টার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার ১৩৯ নম্বর নির্মাণাধীন ভবনের আটতলা থেকে সায়মার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সায়মা সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী ছিল। তার বাবা আবদুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন। ওই ভবনেরই ছয়তলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তারা।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে সায়মার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর তার গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
সোহেল মাহমুদ আরো বলেন, শিশুটির মুখে কামড়ের দাগ পাওয়া গেছে। এছাড়া তার ‘হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব’ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানানো হবে
উপদেষ্টা সম্পাদক : সরোয়ার আজম মানিক, সম্পাদক ও প্রকাশক : মনছুর আলম,
অফিস : হোটেল আল-আমিন কমপ্লেক্স, ৩য় তলা (দৈনিক মেহেদী ) মেইন রোড,, কক্সবাজার।