• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন

উখিয়ায় ক্যান্সারে আক্রান্ত মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র মিজানঃপিতার আর্তনাদ সাহায্যের!

নিউজ রুম / ১৫ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০

শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়াঃ
“মানুষ মানুষের জন্য”
একটি মানবিক সাহায্যের আবেদন।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা সোনারপাড়া গ্রামের মাদ্রাসায় পড়ুয়া নুরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান (১৭) ক্যান্সারে আক্রান্ত। ঢাকার মহাখালি ক্যান্সার হাসপাতালে তার দীর্ঘদিন চিকিৎসা চলে আসছিল। পর্যায়ক্রমে তাকে কেমোথ্যারাপি দেওয়ার কথা। কিন্তু অসহায় বাবা নুরুল ইসলামের পক্ষে এতো টাকার কেমোথেরাপি দেওয়া ও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভবপর না হওয়াতে ক্যান্সার আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এমতাবস্থায় তার সহায়সম্বল যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে।

অসুস্থ মিজানের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, সম্পদ বলতে যা কিছু ছিল সব বিক্রি করে চিকিৎসা করেছি। কিন্তু এখন আমার পক্ষে আর কোনো সম্পদ না থাকায় আমি ছেলের চিকিৎসার ভার বহন করতে অক্ষম হয়ে পড়ছি। ডাক্তার বলেছেন, আরও থেরাপি দিতে হবে যার জন্য প্রায় ২-৩ লাখ টাকার প্রয়োজন।

এদিকে সন্তানকে বাঁচাতে মিজানের জনম দুঃখী বাবা নুরুল ইসলাম (৫০) প্রাণপণ লড়াই চালানোর পরেও শেষ সম্বল সবটুকু বিক্রি করে মিজানের চিকিৎসা চালাচ্ছেন।

মিজানের চিকিৎসায় আর্থিক সাহায্যের জন্য সুহৃদয় ব্যক্তিবর্গের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

বিকাশে সাহায্য পাঠাতে পারেন মিজানের বাবা নুরুল ইসলামের এই নাম্বারে ০১৯০৭-৯৫১৮৯১।

রোগী: অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মিজানুর রহমান (১৭), সোনারপাড়া দাখিল মাদ্রাসা।

আপনাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে মিজান হয়ত একটি সুন্দর জীবন ফিরে পেয়ে ভবিষ্যতে সমাজের মানুষকে আলোকিত করার জোরালো ভূমিকা পালন করবে।
সবার প্রতি আকুল আবেদন এই যে, আপনারা যে যতটুকু পারেন মিজানের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের মধ্য দিয়ে তার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট তার সুস্থতার দোয়া করবেন। যাতে মিজান আবারো সবার মাঝে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।

ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে মুমিনের পারস্পরিক সম্পর্ক হলো- একটি দেহের ন্যায়। দেহের একটি অঙ্গ যেকোনো ধরনের বিপদে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য অঙ্গ তাকে সাহায্যের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠে। উদাহরণ স্বরূপ- কারো চোখে কোনো কিছু পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের অন্য সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আপন কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং তারা সবাই কিভাবে চোখকে তার বিপদ থেকে রক্ষা করবে সেদিকে নিমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রয়োজনে অন্যেরও শরণাপন্ন হয়। অনুরূপ কোনো মুসলমান ভাই যখন কোনো প্রকার বিপদে পড়ে, তখন অপর মুসলমান ভাইয়ের কর্তব্য হলো- তাকে সাহায্য করা। কেননা যে মানুষকে সাহায্য করে মহান আল্লাহতায়ালা তাকে সাহায্য করেন।

আমরা জানি যে, দুনিয়ার সব সম্পদের মালিক আল্লাহ। মানুষ যে সম্পদের অধিকারী, তা মূলত আল্লাহর কৃপার ফসল। আল্লাহ যাকে অর্থ-সম্পদ দিয়েছেন তিনি সে সম্পদ থেকে অভাবী মানুষকে সাহায্য করলে তাতে আল্লাহতায়ালা খুব খুশি হন। এ ধরনের মানবিক কর্তব্য পালন রাত জেগে অবিরাম নফল নামাজ আদায় ও অবিরত নফল রোজার সমতুল্য।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ