• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তিন নেতাকে শোকজ | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ৪২০ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০

মো: নাজমুল সাঈদ সোহেল,চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বেশকিছু গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে দলের জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চকরিয়া সিস্টেম কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলাস্থ বঙ্গবন্ধু কর্ণারের হলরুমে এই জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠায় তিনজন নেতাকে চুড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য শোকজ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম। দলের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় জরুরী সভায় বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক লায়ন কমরুদ্দীন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুর রশীদ দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি যথাক্রমে ছরওয়ার আলম, এম আর চৌধুরী, ছৈয়দ আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক মুজিবুল হক রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, নজরুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ তালুকদার, প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল করিম, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল, আহমদ কবির, অধ্যাপক শফিকুর রহমান, আলমগীর রাজু, জয়নাল উদ্দিন, বাহাদুর আলম, বেলাল আজাদ, জামাল হোছাইন, অধ্যাপক সুলতান আহমদ, নুরুল আবচার চেয়ারম্যান, রুস্তম শাহরিয়ার, হামিদ হোছাইন, সাহাব উদ্দিন, ফিরোজ আহমদ, আতিকুর রহমান হানু, নুরুল কবির মেম্বার, শামশুল আলম মেম্বার, সাইফুদ্দিন মামুন, নুরুল আজিম, বাদশা, আনন্দ প্রমূখ।

সভায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, জরুরী এই সভায় দলের উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন। তন্মধ্যে সম্প্রতি হারবাংয়ে ঘটে যাওয়া গরু চুরির ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেন।

নেতৃবৃন্দদের বক্তব্যে বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রের পেছনে দলের কয়েকজন নেতারা ইন্ধন দেওয়া ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে মিরানকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল।’

সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন বলেন, হারবাংয়ে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে আমরা দলীয়ভাবে তদন্ত করেছি। সেই তদন্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলীয় চেয়ারম্যান মিরানের কোন সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

জরুরী সভার পর বঙ্গবন্ধু কর্ণারের লাইব্রেরী কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রীফ করেন সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম। এ সময় সভাপতি জাফর আলম বলেন, ‘হারবাংয়ে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে দলীয় চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে অপপ্রচার করেছেন। যা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার শামিল হওয়ায় দলের তিনজন নেতা যথাক্রমে হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহরাজ উদ্দিন মিরাজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজবাউল হক ও সদস্য আবছার উদ্দিন মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য প্রথমবারের মতো শোকজ করা হয়েছে। এছাড়াও সাংগঠনিক বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ