বিশেষ প্রতিবেদক,
নিহত নাজমা আক্তারের এক মেয়ে এবার এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হয়েছে। ওই মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাাব দেয় কক্সবাজার এলাকার মো. হাসান নামের এক বখাটে যুবক। লেখাপড়া কম জানা হাসান পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। নাজমা আক্তার ও স্বামী কলিমউল্লাহ এই বিয়ের প্রস্তাবে কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না ফলে ক্ষদ্ধ হয়ে উঠে বখাটে যুবক হাসান। এতে প্রায় সময় নাজমা আক্তার ও কলিমউল্লাহকে হুমকি দেয়া শুরুকরে সে।
অনেক চিন্তাভাবনা করে নাজমা আক্তার তার মেয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তাা করে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গোদার পাড়ার দাদার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় মেয়েকে। ওই ঘটনায় আরে বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া বখাটে হাসান। এর প্রতিশোধ নিতে হঠাৎ গতকাল সোমবার রাত ৯টার সময় হারবাং মুসলিম পাড়ার নাজমা আক্তারের বসতঘরে ঢুকে নাজমা আক্তারের আবেক সন্তানের সামনে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ।
তদন্তে আরো বেরিয়ে এসেছে, হাসানের বাড়ি কক্সবাজার। সে হারবাং ইউনিয়নের মুসলিম পাড়াস্থ মামার বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। এ ঘটনায় তার মামা-খালারাও জড়িত থাকতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ রয়েছে। হত্যার ঘটনার পর থেকে হাসানের মামা ও খালারা পলাতক রয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মেয়ের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটে হাসান নাজমা আক্তারকে জবাই করে হত্যা করতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে সন্দেহভাজন হাসানকে আটক করতে পারলে হত্যা ক্লু উদঘাটন সহজ হবে বলে মনো করেন ওসি। পুলিশও সেভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
৮ জুলাই সোমবার রাত ৯টার সময় কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ায় নাজমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করা হয়। নিহত নাজমা আক্তার ওই এলাকার রিকসাচালক কলিম উল্লাহর স্ত্রী। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান ৮ জুলাই সোমবার রাতে ঘরে মায়ের সাথে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে পড়ালেখা করছিলো এবং নাজমা আক্তার ঘরের কাজ করছিলো। রাত ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিত অবস্থায় ঘরে ঢুকে নাজমা আক্তারকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ওই সময় ঘরে থাকা ছেলে ভয়ে হতবিহবল হয়ে পড়ে। ছেলের শোরচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে নাজমার মৃতদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজন আরো জানায় নাজমা আক্তার ও কলিমউল্লাহর ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। চাকুরীর সুবাদে বড় ছেলে চট্টগ্রামে ও ৭ম শ্রেণীতে পড়–য়া এবং সদ্য এসএসসি পাস করা দুই মেয়ে দাদার বাড়িতে থাকে। কলিমউল্লাহ পেশায় একজন রিক্সাচালক।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন নিহত নাজমা আক্তারের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী কলিমউল্লা বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হবে। হত্যার ক্লু উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে বলে জানান তিনি ।