• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন

সৌদি আরবের বিমান টিকেট প্রত্যাশীদের ঢাকায় এয়ারলাইন্স অফিসের সামনে বিক্ষোভ | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ১২ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

চ্যানেল কক্স ডটকম ডেস্ক:

সৌদি আরবের বিমান টিকেটের দাবিতে ঢাকার কাওরানবাজারে বিক্ষোভ করছেন প্রবাসী কর্মীরা। ফলে সেখানকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সৌদি আরবে যেতে না পারলে তাদের চাকরি হারাতে হবে।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলছেন, ”৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারিখের মধ্যে আমার সৌদি আরবে যেতে হবে। না হলে চাকরি থাকবে না। আমার রিটার্ন টিকেটও ছিল। কিন্তু এখন বলছে, এই সময়ের মধ্যে টিকেট দিতে পারবে না।”

আরেকজন কর্মী বলছেন, ”আমার ভিসার মেয়াদ আর আটদিন আছে। এর মধ্যে যেতে না পারলে চাকরি থাকবে না। তাইলে আমি কি করবো?”

আরেকজন বলছেন, ”আমার স্পন্সর বলছে, যেভাবে পারো ৩০ তারিখের মধ্যে সৌদি আরব আসো। না হলে আর আসতে পারবা না। কিন্তু টিকেট তো পাই না।”

কাওরান বাজারে সৌদি এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার সকাল থেকে কয়েকশো টিকেট প্রত্যাশী বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। এই সময় ঢাকার প্রধান সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তেজগাঁও থানার ওসি মোঃ সালাহ উদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, তারা টিকেট প্রত্যাশীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।

গত কয়েকদিন যাবত হঠাৎ করে ঢাকায় সৌদি এয়ারলাইন্সের যে প্রধান বিক্রয় কেন্দ্র সেটির সামনের সড়কে টিকেট প্রত্যাশী শত শত শ্রমিক ভিড় করছিলেন।

এরা মূলত সৌদি আরবে আগে থেকেই কাজ করতেন কিন্তু দেশে এসে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন।

তাদের মধ্যে নতুন শ্রমিক, যাদের সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ভিসা, নিয়োগপত্রসহ সব কিছু প্রস্তুত, এমন শ্রমিকও রয়েছেন।

প্রবাসী কর্মীরা

বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক সোমবার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, এই জটিলতা শুরু হয়েছে যখন সৌদি সরকার হঠাৎ করেই ঘোষণা দিয়েছে যে শ্রমিকদের সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে সৌদি আরবে ফিরতে হবে।

মহামারির কারণে মার্চের শেষের দিকে সৌদি আরবের সাথে সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় অনেক শ্রমিক দেশে এসে আর ফিরতে পারেননি।

অনেক শ্রমিক রয়েছেন যাদের বৈধ পাসপোর্ট, আকামা বা সৌদি আরবে কাজের অনুমতিপত্র এবং বিমান টিকেট থাকা সত্ত্বেও তারা যেতে পারেননি।

অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা যাওয়ার পথে। এদের সংখ্যা দুই লাখের মতো। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শ্রমিকের গন্তব্য সৌদি আরব।

তাদেরকে এ মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে সৌদি আরবে যেতে বলা ছাড়াও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে সৌদি আরবের সাথে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুনরায় চালুর একটা ঘোষণা এসেছিল সেখানকার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

বাংলাদেশের সরকারি বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও সৌদি সরকারের শর্ত সাপেক্ষে ফ্লাইট আংশিকভাবে চালু করতে চেয়েছিল।

কিন্তু সৌদি আরবের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সেই অনুমতি বাংলাদেশ বিমানকে দেয়নি। এরপর বাংলাদেশও সৌদি এয়ারের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি বাতিল করে দেয়।

কর্মকর্তারা বলছেন, অক্টোবরের এক তারিখ থেকে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স ২৩শে সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। তবে যে যাত্রীর কাছে সৌদি আরব যাওয়ার ফিরতি টিকিট রয়েছে কেবল তাদের আসন বরাদ্দ করা হবে।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ