• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

বাইশ্যার পর এবার বাঁশখালীর আলোচিত জলদস্যু সর্দার ইউনুস মেম্বারসহ ১০ সদস্য সেফহোমে! ChannelCox.com

নিউজ রুম / ৮ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০

এ.এম হোবাইব সজীব,বাঁশখালী থেকে ফিরেঃ

প্রাণ ভয় আর ক্ষমা এই দুই তাগিদে চট্টগ্রামের বাঁশখালী দলে দলে ছাড়ছেন জলদস্যুরা। অপরদিকে ইলেকট্রনিক মিড়িয়া বেসরকারী টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় দস্যুরা আত্মসমর্পণ করতে সম্মতি হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। তাছাড়া নিজের ভূল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণের আগ্রহ প্রকাশ করায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের দাপটশালী ইউনুস মেম্বার সহ ১০ সদস্যকে সেভহোমে নেয়া হয়েছে। ৬ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টার সময় ছনুয়া এলাকা থেকে তাঁদেরকে সেফহোমে নেওয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, দেশের আলোচিত সাংবাদিক আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণের জন্য ইউনুছ মেম্বারসহ ও তার কয়েকজন সদস্যকে সেফহোমে নেয়া হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের আলোচিত জলদস্যু সর্দার প্রধান ইউনুছকে সেফহোমে নেওয়ার বিষয়ে স্থানিয়রা বলেন, বিভিন্ন এলাকায় আস্তানা গেড়ে সাগরে দস্যুতার নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল ইউনুছ সে হয়তো নিজের ভূল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে যাচ্ছে। তিনি সহ তার বাহিনীর সদস্যদের সেফহোমে যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে।

স্থানিয় গণমাধ্যমকর্মী জসিম বলেন, দস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে যাওয়ায় বাঁশখালী উপকূলে শান্তি ফিরতে শুরু করেছে এমনটা মনে করেছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে সাগরে ও বাঁশখালী শান্তি ফিরিয়ে আনার তাগিদেই আলোচিত দস্যু ইউনুছ ও তার ১০ অনুসারিরা আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় দফায় আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে দক্ষিন চট্টগ্রামের উপকূলের বাঘা-বাঘা জলদস্যুরা। এমনটাই জানিয়েছেন প্রশাসনের একাধিক সূত্র। বর্তমানে এসব জলদস্যুরা সেফহোমে চলে গেছে। চলতি মাসের যে কোন দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়ায় এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এছাড়াও প্রায় শতাধিক জলদস্যু অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে আত্মসমপন করতে যাচ্ছে বলে ধারণা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। স্থাণিয়রা মনে করছেন ডাকাত প্রবণ এলাকা বাঁশখালী উপকূলে জলের কুমিরকে ডাঙ্গায় এনে সাংবাদিক আকরাম হোসের মধ্যস্থায় এ আত্মসমপণের মধ্যে দিয়ে শান্তি ফিরে আসবে। এর অংশ হিসেবে অবশেষে বাঁশখালীতে দস্যুদের বিশাল একটি অংশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পন করতে যাচ্ছে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। ফলে বাঁশখালী উপকূলে শান্তির বাতাস বইছে। যার নৈপথ্যা সাংবাদিক আকরাম হোছাইন। অবশেষে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে এমন কথারও উদয় হচ্ছে! তবে স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের যে সেক্টরে আত্মসমর্পন করে অপরাধীরা অস্ত্র জমা দেওয়া হোক না কেন?

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুগ যুগ ধরে বাঁশখালীর দস্যুদের দমন করতে গিয়ে জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজন হিমছিম খেয়ে আসছিল। তবে জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আশস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন একজন সাংবাদিক। দস্যুদের মন দুলছে অজানা শংকা আর নামহীন সন্দেহ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের শান্ত করলেন সাংবাদিক আকরাম হোসাইন। তিনি জীবনের ঝূঁকি নিয়ে প্রথম শুরু থেকে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রচার করে সন্ত্রাসী ও জলদস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পথ সুগম করে দিলেন।

বাংলাদেশের দক্ষিণ চট্টগ্রামের জলদস্যুদের অভয়ারণ্য বাঁশখালী ভিত্তিক তয় দফায় দস্যূ দলের কয়েকটি গ্রুফ বিনা রক্তপাতে স্বেচ্ছায় নিজেরা সেফহোমে সাংবাদিক আকরাম হোসেনের এর মধ্যস্থতায় চলে গেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে।

উল্লেখ্য,গত ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্রথম আলোচিত সাংবাদিক আকরাম হোসেনের মধ্যস্ততায় র‍্যাব-৭ এর সহায়তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও র‌্যাবের ডিজির উপস্থিতিতে মহেশখালীর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ৫ টি বাহিনীর ৩৭ জনসহ ৪৩ জলদস্যু অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল। এর ধারাবাহিকতায় ২য় দফায় ২০১৯ সালে ২২ নভেম্বর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় একযোগে মহেশখালীর কালারমারছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন ১২টি সন্ত্রাসী বাহিনীর ৯৬ জন জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগর। এ সময় তাঁরা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৮৪ রাউন্ড গুলি, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ বিভিন্ন যন্ত্র জমা দেন। তাঁরা সবাই জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়ার জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগর।

সাংবাদিক আকরাম হোসেন এক প্রতিক্রিয়া বলেন, সন্ত্রাসী ও দস্যুতায় লিপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি জলদস্যু বাহিনী খুব শিঘ্রই মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

তিনি আরোও বলেছেন, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ২য় দফা জলদস্যুরা আত্মসমর্পণের পর বাঁশখালী উপকূলের জলদস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন। আর এজন্যই দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী অঞ্চলের দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর চেষ্টা করছি।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ