• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৯ অপরাহ্ন

রামুর ইয়াবা ডন আবদুর রহমান এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ১৬ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফাক্রিকাটা ৫নং ওয়ার্ডের পাহাড় পাড়ার বহুল আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী আবদুর রহমান ইয়াবার ছোঁয়ায় এখন কোটিপতি। সে ঐ এলাকার মোঃ জামাল এর ছেলে। সামান্য একজন সিএনজি চালক আবদুর রহমান ইয়াবার ছোঁয়ায় হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়ায় তাকে নিয়ে রামুর সর্বত্র মানুষের মাঝে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

জানা যায়, সিএনজি চালকের পাশাপাশি প্রথমে মদের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে আবদুর রহমান। পরবর্তীতে ইয়াবার ছোঁয়া পেয়ে আবদুর রহমান যেন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। তাকে আর পেছনে থাকাতে হয়নি। তার ইয়াবা বানিজ্য যেন দিনদিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে এলাকায়। পুরো জেলা জুড়ে রয়েছে তার বিশাল মাদক সিন্ডিকেট। বেকার যুবকদের বেকারত্বকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কৌশলে তাদের দিয়ে ইয়াবা পাচার করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে। আর এই সব যুবকরা বিনা পুঁজিতে অধিক টাকার লোভে সরাসরি সহজ পন্থা ইয়াবা বানিজ্যের সাথে যোগ দিচ্ছে। ইয়াবা ব্যবসা করে বছরের শেষে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ সম্পদ ও গাড়ি বাড়ির মালিক বনে গেছে অনেকে। ফলে চরমভাবে ওই এলাকায় বেকার যুবকদের নব্য কোটিপতি’র সংখ্যা দৃশ্যমান।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায়, আব্দুর রহমান সে কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নাম্বার ওয়ান মোষ্ট ওয়ান্টেড ইয়াবা কারবারি খ্যাত।

ইয়াবার ছোঁয়ায় শূন্য থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া আব্দুর রহমান এর হাতে যেন আলাদীনের চেরাগ। রয়েছে নামে-বেনামে সম্পত্তি সহ রামু উপজেলায় ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে নেওয়া মেসার্স পছন্দ স্টোর নামক একটি দোকান এবং কয়েকটি সিএনজি গাড়ি। ১ মাস পর পর বিভিন্ন ধরনের লাখ লাখ টাকার মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে চলাফেরা করে কোটিপতি স্টাইলে। সম্প্রতি রামুর সর্ব বৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র খ্যাত গর্জনিয়া বাজার ১ কোটি টাকায় নিজের নামে ইজারা নিয়ে টপ অব দ্যা রামুতে পরিনত হয়। এছাড়াও আলিশান জীবন যাপন, প্রতিমাসে নিউ মডেলের গাড়ি পরিবর্তন এ যেন রুপ কথার গল্পকেও হার মানায়। বর্তমানে রয়েছে Apache 4v লাল রঙের মোটরসাইকেল।

উল্লেখ্য যে, ইয়াবা ব্যবসায়ী আবদুর রহমানকে আটক পূর্বক শাস্তি দাবি করে এলাকায় মানববন্ধন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট ভাইরাল হলে বর্তমানে গাঁ ঢাকা দিয়ে আড়ালে চলে গিয়েও ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করতেছে বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ।

এলাকাবাসীরা আরো জানান, কক্সবাজার জেলার পুলিশের পরিবর্তনের পর আবারো ফিরে এসে করছে ইয়াবা ব্যবসা। গর্জনিয়া নতুন পুলিশ ফাঁড়ির সাথে শখ্যতা রেখে চলছে আবারো স্বাধীনভাবে চলাফেরা।

তাদের অভিযোগ আবদুর রহমানকে আটক করলে ইয়াবা ব্যবসার মুল গড় ফাদারদের নামও বেরিয়ে আসবে নিঃসন্দেহে।

এব্যাপারে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী আবদুর রহমানকে আটক পূর্বক উপযুক্ত শাস্তি প্রদানে আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন রামুর কচ্ছপিয়ার সর্বস্থরের জনসাধারন।

অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আব্দুর রহমান জানান, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত সিএনজি মালিক এবং সিএনজির প্রাপ্ত লভ্যাংশ থেকে তিনি বাজার ইজারাদার হয়েছেন। তিনি কখনো ইয়াবার সাথে জড়িত ছিলেন না বলে দাবী করেন।

এ বিষয়ে গর্জনিয়া ফাঁড়ির নবাগত পরিদর্শক ফরহাদ জানান, আমরা চেষ্টা করবো এবং তার বিষয়টি অবশ্যই দেখবো। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মোতাবেক অভিযান করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ