• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন

দুই স্থানীয়কে গুলি ও জবাই করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গারা | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ১২ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০

জসিম উদ্দীন:

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের মধ্যে দুইজন স্থানীয় বলে জানাগেছে।

তারা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালীর বাসিন্দা নোহা গাড়ির চালক নুরুল হুদা অপরজন হেলপার আবুল বশর। দুইজনকে জবাই ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা।

নিহত অপর দুইজন শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্নার ভাই নাম গিয়াস উদ্দিন আরেকজনের নাম ফারুক।

নিহতদের প্রত্যেকের শরীরে গুলি ও দায়ের কোপের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, যাত্রীবেশে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী রঙ্গিখালী এলাকা থেকে নুরুল হুদার নোহা গাড়িটি ভাড়া করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সংঘর্ষে যোগ দিতে যায়।

ক্যাম্পে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে। রোহিঙ্গা ভেবে স্থানীয় নুরুল হুদা আবুল বশরকে নির্মমভাবে জবাই ও গুলি করে হত্যা করে।

হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মোঃ আলী জানান, নোহা চালক নুরুল হুদার নিহত হয়েছে সেটা আমি নিশ্চত। আবুল বশরও নিহত হয়েছে বলে শুনতে পাচ্ছি।তবে কেউ কেউ বলছে এখনো আবুল বশর বেঁচে আছে।তাকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আটকে রেখেছে।

এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আহমেদ মঞ্জুর মোরশেদ জানান, আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনো ৪ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা মৌখিকভাবে লাশ গুলো অমুক-তমুকের বলে দাবি করছে।

তবে স্থানীয় শাহআলমসহ আরও কয়েকজন জানান, নিহত চারজনের মধ্যে দুইজন স্থানীয় নোহা গাড়ি চালক নুরুল হুদা ও হেলপার আবুল বশর।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন। প্রাথমিকভাবে চারজনকেই রোহিঙ্গা বলে দাবি করেছিলেন শৃঙ্খলাবাহিনী। কিন্তু সকালে নিহতদের মাঝে দু’জন স্থানীয় বলে প্রচার পাওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ