• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন

দুদকে তলব কক্সবাজার এলএ শাখার ১৩ দালালকে | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ১৬ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০

চ্যানেল কক্স ডটকম নিউজ:

কক্সবাজারে চলছে অর্ধশতাধিক মেগা প্রকল্প। দোহাজারি-ঘুমধুম রেললাইন, মহেশখালীতে কয়লা বিদ্যুৎ, টেকনাফে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন, সাবমেরিন স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হচ্ছে তিন লাখ কোটি টাকারও বেশি।

এসব প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণের আওতায় পড়েছে হাজার হাজার একর জমি। এসব অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর নিয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এলএ শাখা কেন্দ্রীক কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ শুরু থেকেই উঠেছে।

এসব কমিশনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একাধিক দালাল সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটে কমিশনের লাইনে ফেলে জমির মালিককে ফতুর বানিয়ে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া অভিযুক্ত ১৩ ব্যক্তিকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ৫ অক্টোবর দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিচালক শরীফ উদ্দিন তাদের নামে নোটিশ জারি করেছেন।

নোটিশ প্রাপ্তরা হলেন, এহসানুল করিম, মহিবুল্লাহ, মো. তাজউদ্দিন, মো. মামুন, জালাল উদ্দিন, নুরুল ইসলাম বাহাদুর, এডভোকেট নোমান শরীফ, মনজুর আলম, মো. নুরুল আবছার, সৈয়দ আকবর ও আবদুল মান্নান খান।

দুইজনের সঠিক নাম পাওয়া যায়নি। তাদেরকে আগামী ১১ অক্টোবর সকাল ১০টায় দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হাজির হয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে হবে।

এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা কক্সবাজার এলএ শাখায় কর্মরত সার্ভেয়ার ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে যোগসাজস করে কক্সবাজার জেলার অধিগ্রহণকৃত বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকা জমির মালিকদের কাছ থেকে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে আদায় করেছেন। সেই সঙ্গে অর্থপাচারেরও (মানিলন্ডারিং) অভিযোগ তোলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

আগামী ১১ অক্টোবর দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই বলে ধরে নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন ইতোপূর্বেও ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজন সার্ভেয়ারকে গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে কারান্তরীণ।

তবে, নোটিশ পাওয়াদের মাঝে অ্যাডভোকেট নোমান শরীফ বলেন, মহেশখালীতে চলমান প্রকল্প স্থলে আমাদের পৈত্রিক জমি অধিগ্রহণে পড়েছে। যেখানে আমার পরিবার ও আমার নিজ নামের জমিও রয়েছে। সেই প্রকল্পের অধিগ্রহণে আমরা বেশ কয়েক কোটি টাকা পাচ্ছি। কয়েকটা চেক পেয়েছি এবং আরও সাতটা চেক পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে। আমার নিজের এবং পরিবারের ফাইলগুলো অন্য কাউকে না দিয়ে আইনজীবী হিসেবে নিজেই তদারক করেছি। নিজের কাজে বার বার এলএ অফিসে যাতায়াত করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট মৌজার দায়িত্ব পাওয়া কর্মজীবীদের সঙ্গে জানাশোনা হয়েছে। নিজের পরিচিতি দিয়ে আমার ও পরিবারের কাজগুলো আদায় করা ছাড়া অন্যকারও কাছ থেকে একটি কড়িও কমিশন হিসেবে পায়নি এবং কারও জন্য দালালিও করিনি।

কক্সবাজারে মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদের পরিবারের সন্তান হিসেবে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজাকার পরিবার ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দ্বারা আমরা সব সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও নাজেহাল হয়ে আসছি। এ অভিযোগও তারই একটি অংশ। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চেক করলেই টাকার উৎস সম্পর্কে তথ্য জানা সম্ভব।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ