• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন

চকরিয়ায় বিদ্যালয়ের জমি দখলকাৱী ও হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ১৬ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০

মো: নাজমুল সাঈদ সোহেল,চকরিয়া:

“যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত” এতদ্বসত্ত্বেও বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মাতোয়ারা। তাৱা মোটেও চিন্তাভোদের প্রয়োজন মনে করে না আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কিংবা সামাজিক ব্যবস্থাপনার। এৱই অংশবিশেষ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে বিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গায় শহীদ মিনার নির্মাণে বাঁধা প্রদান ও স্কুলের দাতা সদস্যের উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল।

তাৱই প্রতিবাদে আমজাদীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বিদ্যালয়েৱ দাতা সদস্য নুরুল আবছার সওদাগর ও তার পুত্র নুরুল আজিমেৱ উপৱ হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাল ৪ টার সময় স্কুল প্রাঙ্গনে মানববন্ধন পালন করে স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: সাঈদুল হক চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রধান অতিথিৱ বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফা কাইছার, চকরিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মৌলানা আনিসুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক এমইউপি কবির হোসেন মেম্বার, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আবু তালেব চৌধুরী, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন নান্নু, ২নং ইউপি সদস্য ওয়াসিম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, সাবেক সহ সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক মুবিনুল হক উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সরওয়ার আলম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চকরিয়া উপজেলার ১৪৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মানের অংশ হিসেবে গত বুধবার সকালে আমজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গায় শহীদ মিনার নির্মান কাজ উদ্বোধন করতে আসেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব গুলশান আকতার ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরতেই নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আবুল কালাম ও তারভাই আইয়ুব মো. ইকবাল। পরে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং বাঁধা প্রদানকারি উভয় পক্ষের সাথে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হয় যে বাঁধা প্রদানকারী পক্ষের দাবিকৃত ডকুমেন্ট যথাযথ না হলেও বিরোধীয় ৯ শতক জায়গা বাদ দিয়ে অন্য জায়গায় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ উদ্বোধন হবে। এসময় বাঁধা প্রদানকারিরা এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রথমে রাজি হলেও পরে বেঁকে বসে কোন জায়গায় শহীদ মিনার নির্মান করা যাবেনা বলে হুংকার দিয়ে জমির দাতা পক্ষের প্রতিনিধি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আবছার সওদাগর ও তার পুত্র নুরুল আজিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এরই অংশবিশেষ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজে বাঁধা ও হামলার প্রতিবাদে আজকের এই মানববন্ধন।

প্রধান অতিথিৱ বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার বলেন, মায়ের ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে ও বাংলা ভাষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চকরিয়া উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে শহীদ মিনার। এতে ছোট একটি শিশু ও জানতে পারবে ভাষা দিবস কী? কেন এবং এদিন শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হয়? ভাষা দিবসের তাৎপর্য, দেশপ্রেম, শ্রদ্ধাবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য সবার মধ্যে ছড়িয়ে যাবে। শহীদ মিনার নির্মাণ হলে উপকৃত হবে এলাকাবাসী ও মেধা বিকশিত হবে স্কুলের কোমল ছাত্র-ছাত্রীদের।

চেয়ারম্যান কাইছার আরো বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রথমে আমজাদীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ১৯৭৮ সালে আৱ এস খতিয়ান নাম্বার-১৬১৬, এম আর আর খতিয়ান নাম্বার-৫৯৬ এৱ দাগ নাম্বার ১৫৪৩, ১৫১৬ ও ১৬৪৭, বিএস খতিয়ান নম্বর ৭৭২ ও ৭৭৩, ১৯৯৬ দাগেৱ ৩০ শতক জমি স্কুলের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়ে দানপত্র করেন। সেই জমির উপর সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদ্যালয়ের জন্য শহীদ মিনার নির্মাণ করতে গেলে লোলুপ দৃষ্টিতে আইয়ুব মো.ইকবাল ও ইউপি সদস্য আবুল কালাম গং কাজে বাধা প্রদানসহ হামলা কৱে এরা প্রকৃতপক্ষে ভূমিদস্যু দখলবাজ ও প্রতারণা করে অন্যের জমি হাতিয়ে নেয়া চিরাচারিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে স্কুলের ৩০ শতক জমি দখলমুক্ত করে সন্ত্রাসী ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়াও স্থানীয় এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে সরকারি সিদ্ধান্তে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান ও হামলীকারীদের উপযুক্ত শাস্তিৱ দাবীসহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ