• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন

চলতি মাসে ৩য় দফায় আবারো প্রায় শতাধিক জলদস্যু আত্মসমর্পণ করবে | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ৪৯ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ:

দক্ষিণ চট্টগ্রামে কক্সাবাজারের মহেশখালীতে প্রথম ও ২য় দপায় প্রায় দেড় শতাধিক জলদস্যুর আত্মসমর্পণের পর এবার ৩ দপায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আবারো প্রায় শতাধিক জলদস্যুর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৫ই সেপ্টেম্বর দৈনিক আমার সংবাদে মহেশখালীর গহীন অরণ্যে সন্ত্রাসীদের আস্তানা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা কালারমারছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আছদ আলীর পুত্র শীর্ষ সন্ত্রাসী বাদশাসহ তার সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেফহোমে চলে আসে। এর ৩দিন পর আরো একটি ফলোআপ দেয় দৈনিক আমার সংবাদে, যে খবরটিতে চলতি বছরেই আরেকটি আত্মসমর্পণ হবার প্রস্তুতির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।

গেলো ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক আকরাম হোসাইনের মধ্যস্থতায় মহেশখালীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রথমবারের মত মহেশখালীর আনজু বাহিনীর ১০ জন সদস্য ২৪টি অস্ত্র এবং ৩৪৫টি গোলাবারুদ, রমিজ বাহিনীর দুইজন সদস্য আটটি অস্ত্র এবং ১২০টি গোলাবারুদ, নুরুল আলম ওরফে কালাবদা বাহিনীর ছয়জন সদস্য ২৩টি অস্ত্র এবং ৩৩৩টি গোলাবারুদ, জালাল বাহিনীর ১৫ জন সদস্য ২৯টি অস্ত্র ছয় হাজার ৭৯৮ গোলাবারুদ, আইয়ুব বাহিনীর নয়জন সদস্য নয়টি অস্ত্র ৩৭টি গোলাবারুদ ও আলাউদ্দিন বাহিনীর একজন সদস্য একটি অস্ত্র এবং চারটি গোলাবারুদ জমা দিয়ে ৪৩ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে এরপর ২য় দপায় ২০১৯ সালের ২৩ই নভেম্বর একিভাবে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জাম, গোলাবারুদসহ ১৭ টি জলদস্যু বাহিনীর প্রধান, ১২ জন অস্ত্র তৈরীর শীর্ষ কারিগরসহ আবারো ৯৬জন দাগি আসামী ও জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে।

মহেশখালীতে প্রথম দপায় আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুরা ইতিমধ্যে জামিনে মুক্ত হয়ে সরকারের নগদ অর্থ ও সহযোগিতা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে শুরু করেছে এবং ২য় দপায় আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুরাও প্রায় জামিনে মুক্ত হওয়ার পথে। মহেশখালীতে থাকা জলদস্যু ও দাগি সন্ত্রাসীদের নিয়ে আত্মসমর্পণের মত বিরল ঘটনা ঘটায় মহেশখালীর জনপদ এখন অনেকটাই শান্তির পথে। এতে করে দ্বীপের জেলেরা নির্ভিঘ্নে মৎস আহরণ করছে এখন।

মধস্থতাকারী সাহসী সাংবাদিক আকরাম হোসাইন বলেন, ইতিমধ্যে আমি মহেশখালীর প্রায় দেড় শতাধিক জলদস্যু ও দাগি সন্ত্রাসীদের আলোর পথে আনতে সক্ষম হয়েছি এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত অধরায় থাকা অনেক জলদস্যুর সাথে আত্মসমর্পণ বিষয়ে কথা বলি এবং তারা আত্মসমর্পণ করে আলো পথে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করলে আমি সেটি প্রশাসনকে জানায় এবং প্রশাসন থেকে সবুজ সংকেত দেখায় চলতি মাসেই আরেকটি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অধরায় থাকা জলদস্যুদের আলোর পথে আনার চেষ্টা করছি। এবং কতজন শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণে আওতায় আসছে তা দেখার জন্য আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান হওয়া পর্যন্ত অপেকা করতে হবে। তবে আশা করছি প্রায় শতাধিক জলদস্যু আত্মসমর্পণের আওতায় আসতে পারে।

প্রশাসন বলছে অন্ধকার জগত থেকে আলোর পথে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করা জলদস্যু ও সন্ত্রাসীদের আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ দিচ্ছি। এই আয়েজনের মূখ্য ভুমিকা পালন করছেন জেলার সাহসী সাংবাদিক আকরাম হোসাইন। যারা যারা আলোর পথে ফিরতে চাই তাদের আমরা সুযোগ দিবো। ইতিমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দপার ২টি আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় দেড় শতাধিক জলদস্যু ও সন্ত্রাসী আত্মসমর্পণের আওতায় চলে এসেছে এবং এদের অধিকাংশরাই বর্তমানে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে শুরু করে দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও নগদ অর্থসহ সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে তাদের।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ