• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন

মাদক, পতিতা ব্যবসার প্রতিবাদ করায় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার পায়তারা চালাচ্ছে

নিউজ রুম / ১২ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজর সদর:

কক্সবাজার সদরের ইসলামপুরে মাদক ও পতিতা ব্যবসার প্রতিবাদ করায় এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলার পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে একটি সমাজচ্যুত পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েক দফা সংঘর্ষেরও ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। কয়েকবার বাঁধা দেওয়ায় দা,কিরিচ দিয়ে ধাওয়া করেছে নারী পুরুষদের। সে সময় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিশু পুত্ররা৷

তারই ধারাবাহিকতায় গত ১১ অক্টোবর দুপুরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বদিউল আলম নামের এক যুবককে আক্রমণের উদ্দেশ্য দা, কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে আহত করার চেষ্টা করেন পরিবারটি।প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়,ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্ব নাপিত খালী ভিলেজার পাড়া এলাকায় গত দুই মাস পূর্বে রিজার্ভ জমি খরিদ করে বসতি স্থাপন করে ঈদগাঁও ইউনিয়নের দরগার পাড়া এলাকার শামশুল আলম নামের এক ব্যক্তি। বিগত ২ মাস ধরে সে মদ সেবন করে পাড়াপড়শিদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন এলাকা থেকে পতিতা সংগ্রহ করে এনে ব্যবসা করে আসছে।

এসবের প্রতিবাদ করলে স্ত্রী ফরিদা বেগমসহ মেয়েরা ধারালো অস্ত্রে এলাকাবাসীকে ধাওয়া করে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে জীবন পার করছে সেখানকার ৩০/৩৫ টি পরিবার। স্থানীয় মোস্তাক আহমদের স্ত্রী তাহেরা বেগম, মোঃ হোছেনের স্ত্রী কাজল আক্তার, গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী রুজিনাা আক্তার, সিরাজের স্ত্রী আরফাতুনসহ ১৫/১৬ জন নারী পুরুষ জানান, শামসুল আলম নামের লোকটির বাড়ী ঈদগাঁও দরগাহ পাড়া, রিজার্ভ জমি খরিদ করে এখানে বসতি গড়ে তুলে মাদক ও পতিতা ব্যবসা করে আসছে।

প্রতিদিন অচেনা যুবকদের আসা যাওয়া, মাদকের আসর, পতিতার হাট বসাসহ হরেকরকমের অপরাধ করে আসছিল পরিবারটি। শামশুল আলম ঈদগাঁওয়ের শীর্ষ ডাকাত ছালেকের শাশুড় হওয়ায় কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস করত না। অতিরিক্ত করে পেলায় বাঁধা দিতে বাধ্য হয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে শামশুল আলমের স্ত্রী ফরিদা বেগম বাদী হয়ে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে ইতিপূর্বে স্থানীয় প্রতিবাদকারী বদিউল আলম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্র লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তারা ঘটনার দিন বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে অজানা গন্তব্যে চলে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

তদন্ত কেন্দ্রে বিচারের রায় তাদের পক্ষে না গেলে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব মাদক ও পতিতা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পুরো এলাকার মাদকের আগ্রাসন বেড়ে গিয়ে সংসারের অশান্তি বিরাজ করতে পারে। এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সাহাব উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।

সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযুক্তদের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। না পেয়ে তাদের বসতঘরে গেলেও দেখা মেলেনি পরিবারের কোন সদস্যের।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ