• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লায় শিশু ছাত্রীকে মাদরাসা শিক্ষকের ধর্ষণ | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ২৩ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০

চ্যানেল কক্স ডটকম ডেস্ক:

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ১০ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন একই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ সোহাগ (৪০)।

এ ঘটনায় বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ইউসুফ দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ জামে মসজিদের ইমাম এবং চান্দিনা পল্লীবিদ্যুৎ রোডের দারুল ইহসান তাহফিজুল কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মোহতামিম।

নির্যাতিত ছাত্রী দেবিদ্বার উপজলার বাগুর এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় রাতেই মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চান্দিনা থানা পুলিশের ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

ছাত্রীর বাবা জানান, ২০১৯ সালে চান্দিনা পল্লীবিদ্যুৎ রোডের মাদরাসায় তার মেয়েকে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) তিনি জানতে পারেন ওই শিক্ষক তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। খবর পেয়ে তিনি মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় শিক্ষকসহ মেয়েকে উদ্ধার করেন।

মাদরাসা ছাত্রী জানায়, মাদরাসায় অধ্যয়নরত অবস্থায় এক মাস আগে ইউসুফ হুজুর আমাকে ধর্ষণ করে। আমি বিষয়টি বাবা-মাকে জানাইতে চাইলে হুজুর ভয়ভীতি দেখান। পরবর্তীতে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন হুজুর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই শিক্ষক এ পর্যন্ত চার বিয়ে করেছেন। দুই স্ত্রী চলে গেলেও এখনও দুই স্ত্রী রয়েছেন। মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে শিশু ছাত্রীদের ধর্ষণের আরও অভিযোগ রয়েছে।

দেবিদ্বার থানা পুলিশের ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, শিশু মেয়েটি ও মাদরাসা শিক্ষকের বাড়ি দেবিদ্বার থানা এলাকা হলেও ঘটনাস্থল চান্দিনা থানা এলাকায়। এ বিষয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

চান্দিনা থানা পুলিশের ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, মাদরাসা শিক্ষকসহ মেয়েটি থানায় আছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাকিব হাসান বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমি চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। শিক্ষক ইউসুফকে আইনের আওতায় এনে মাদরাসাটি বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ