• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন

সরকারের নির্দেশ উপেক্ষিত সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ২৯ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০

এ.এম হোবাইব সজীব:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জেলা ম্যাজিষ্টেট পরিবীক্ষণ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব তৌহিদ ইলাহীর প্রেরিত এক চিঠির নির্দেশ উপেক্ষিত হচ্ছে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে। ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীর জাইল্যা পাড়া, সাইড পাড়া ও পশ্চিমের শুটকি চর, ধলঘাটার হাঁসের চরসহ বেড়ীবাঁধ দেবে যাচ্ছে।

এছাড়াও প্রতিনিয়ত সরকারী নীতিমালা লঙ্গনের মাধ্যমে উপজেলার মাতারবাড়ী-ধলঘাটার সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। যার কারণে গেল বর্ষায় মাতারবাড়ী ও ধলঘাটাবাসীর স্মরণকালের বৃহত্তম ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরী করতে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার মাতারবাড়ীতে ২টি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান। জাপানী সংস্থা জাইক্যার অর্থায়নে ২টি ইউনিটের মাধ্যমে ৭শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে ১৪শত ১৪ একর লবণ ও চিংড়ী জমি অধিগ্রহণ করেন। আরো ৬শত ইউনিট উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে একই ইউনিয়ন থেকে পরবর্তী বছর ১২ শত একর চিংড়ী ও লবণ জমি অধিগ্রহন করেন। ২০১৫ সাল থেকে শুরু করা হয় মাঠ ভরাটের কাজ। এ মাঠ ভরাটের মাটি পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে আনার কথা থাকলেও ধলঘাটার হাঁসের চর থেকে নেয়া হচ্ছে এ বালু।

মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর-পশ্চিম, কুতুবদিয়ার দক্ষিন-পৃর্ব সাগর চ্যানেলে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে মগনামার সাবমেরিন প্রকল্প এবং এস আলম গ্রুপের প্রকল্প ভরাট করার কারণে মাতারবাড়ীর জাইল্যা পাড়া, শুটকি চর, সাইড পাড়া বেড়ীবাঁধ দেবে যাচ্ছে পর্যায় ক্রমে। এমন কি গেল বর্ষায় স্মরণকালের বৃহত্তম ক্ষতি হয়েছে মাতারবাড়ী ও ধলঘাটায়।

এ ছাড়া ঝাউগাছ ও বাইনগাছ পরিবেষ্টিত ধলঘাটার ১০ কিলোমিটার চরটির অধিকাংশই বিলিন হয়ে গেছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার সৃজিত ঝাউগাছ আর বাইনগাছ। এছাড়া সোস্যাল মিড়িয়া ফেসবুক ও সংবাদ মাধ্যমে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি উত্তোলনের খবরা-খবর অব্যাহত রয়েছে। হুমকির মূখে বেঁড়িবাধ ও বসতবিঠা সংবাদ প্রকাশ হলে তা প্রশাসনের নজরে আসে। তা প্রতিরোধ করতে ভ্রাম্যমান আদালত করার নির্দেশনা দিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পরিবীক্ষন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব তৌহিদ ইলাহীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গত ৬ সেপ্টেম্বর সকল জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করেন। বিভিন্ন দপ্তরেও অনুলিপি প্রেরণ করেন।

এ চিঠিতে বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন জলাশয়, নদী ও বিভিন্ন ভাঙ্গন এলাকা থেকে বালু তোলা যাবে না। অপরদিকে উপজেলার মাতারবাড়ীতে অবৈধ বালি উত্তোলনের খবর পেয়ে ১৪ই অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুইচিং মং মারমা সেখানে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে মাতারবাড়ীর সাইরার ডেইলের দক্ষিণ পাশে বসানো ড্রেজারটি জব্দ করে পাইপের প্লাস্টিক অংশ কেটে ফেলা হয়েছে।

এছাড়া মধ্যম রাজঘাটে রাস্তা ব্লক করে বসানো লোহার পাইপটি খুলে এবং প্লাস্টিকের পাইপটি কেটে জনস্বার্থে রাস্তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে ড্রেজারের মানুষ জন পালিয়ে যাওয়ায় জেল/জরিমানা করা যায়নি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুইচিং মং মারমা বলেন, উপজেলা প্রশাসন মহেশখালী বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে এবং থাকবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়া আমরা প্রায়ঃশ বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট অভিযানে যায় কিন্তু কোন কোন সময় স্পটে অপরাধীদের ধরতে না পারার কারণে তাদেরকে জেল/জরিমানা করা যায় না। যদিও তাদের অবৈধ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ