• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০০ পূর্বাহ্ন

চাকমারকুল মাদরাসার মুহতামিমসহ ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ক্ষোভ-নিন্দা

নিউজ রুম / ১২৭ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯

বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের প্রচীনতম মাদরাসা আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলূম চাকমারকুল, রামুর মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলামসহ ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বহিস্কৃত শিক্ষক আবদুর রাজ্জাকের মিথ্যা মামলায় নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষকবৃন্দ। সেই সঙ্গে দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র ইঙ্গিত করে তারা মামলাটি প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
সোমবার (২২ জুলাই) সকালে মাদরাসার শিক্ষকদের সাপ্তাহিক সভা থেকে এ দাবী ও ক্ষোভের কথা জানানো হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম।
সভায় শিক্ষকরা বলেন, কক্সবাজার জেলা প্রাচীনতম ও প্রধান দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রামু চাকমারকুল দারুল উলুম মাদরাসা। যেখানে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান শিক্ষা ও অন্যান্য পরিবেশ সুশৃঙ্খল ও প্রশংসারযোগ্য। এরপরও মাদরাসা নিয়ে একটি প্রভাবশালীচক্র পেশিশক্তির বলে নানামুখি চক্রান্ত করছে, যা দ্বীনি শিক্ষা ধ্বংস করার অপপ্রয়াস। একেকটি ইস্যু সৃষ্টি করে মামলা দেয়া হচ্ছে। এমন ঘৃণিত কাজে শিক্ষক সমাজ বিস্মিত, লজ্জিত। যে মাদরাসা থেকে হাজারো আলেম উলামা সৃষ্টি হয়েছে, এমন একটি মাদরাসা নিয়ে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র চরম ধৃষ্টতার প্রমাণ বলে শিক্ষকরা মনে করেন।
মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় নিন্দা জ্ঞাপন করেন- শিক্ষা পরিচালক মুহাদ্দিস মাওলানা কামাল হোছাইন, মুহাদ্দিস মাওলানা হারুন কদীম, মুহাদ্দিস মাওলানা ফিরোজ আহমদ, সহকারী শিক্ষক মাওলানা ছৈয়দ আহমদ, মুহাদ্দিস মাওলানা ইয়াকুব, মুহাদ্দিস মাওলানা সোলাইমান, মুহাদ্দিস মাওলানা হাবিব উল্লাহ, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হারুন জদীদ (হোস্টেল ইনচার্জ), মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা সিদ্দিক আহমদ, সহকারি শিক্ষক মাওলানা আনোয়ারুল হক, মাওলানা আব্দুর রশিদ, মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা কারী তৈয়ব, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন, মাওলানা মামুনুর রশিদ, মাওলানা নুরুল হক (খতীব), মাওলানা আজিজুল হক, মাস্টার জিয়াউর রহমান, মাওলানা কারী ছাদেক উল্লাহ, মাওলানা হাফেজ সৈয়দ করীম, মাওলানা মুসলিম ইকবাল, মাওলানা নুরুল আমিন, নেয়ামত উল্লাহ, মাওলানা সাজেদুল করিম, মাওলানা নুরুল কবির, মাস্টার আবুল কালাম, মাওলানা ঈসা, মাওলানা ছলিম উল্লাহ, হাফেজ রমজান আলী, আব্দুর রউফ, মাওলানা আবু বক্কর, মাওলানা ঈসা, মুয়াজ্জিন সানাউল্লাহ ও ইমরানুল হক।
সুত্র জানায়, মাদরাসার বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বহিস্কৃত শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলামসহ ৫ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৪ জুলাই আদালতে মামলা করেন। যার সি.আর মামলা নং-২৫৩/১৯।
এ মামলার বাকি চার আসামি হলেন- হিসাব রক্ষক নুরুল আমিন, শিক্ষা পরিচালক মুফতি কামাল হোছাইন, সহকারী শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম ও মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল হক।
এছাড়া বহিস্কৃত মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক নিজের ছোট বোন মর্জিয়া সুলতানাকে বাদি করে গত ১৪ জুলাই রামু থানায় মামলা করেন। যার থানা মামলা নং-২২১/১৯, জিআর মামলা নং-১২/১৯।
মামলায় আসামী বানানো হয়েছে- মুহতামিম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, বাদির বড় ভাই ও মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুল গফুর, সাইফুদ্দিন ও আবদুল মালেক। মামলার আসামীরা জামিনে থাকলেও সাজানো মামলার কারণে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকাবাসী ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছে।
এদিকে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, নানামুখী ষড়যন্ত্রের পরও মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। গত ২১ জুলাই মোনাজারাহ তথা বিতর্ক, হস্তলিপি ও কেরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ