• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন

পার্বত্য রাঙামাটি জেলাস্থ বিভিন্ন উপজেলায় ছেলেধরা আতঙ্ক সম্পূর্ণ গুজব

নিউজ রুম / ১৩৮ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯

মোঃ ইরফান উল হক, রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ

বিগত দু,একদিন যাবৎ জুড়াছড়ি, নানিয়ারচর ও রাঙামাটি সদর উপজেলাতে ছেলেধরা আতঙ্ক বিরজমান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধ ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগে জানা যায়, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রনোণিত তথ্য বলে পরিলক্ষিত হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে খোজ নিয়ে জানা যায়, বিষটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং নিছক গুজব। এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধ ও প্রশাসনের উদ্দেগ্যে সংশিষ্ট সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, পরিচালনা পর্যদ, অভিবাবক ও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক আলোচনা/মতবিনিময় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যার উদ্দেশ্য চলমান ছেলে ধরা আতঙ্ক গুজব সম্পর্কে একটি জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

সুতরাং ছেলেধরা আতঙ্ক গুজবের বিষয়ে অভিবাবকরা আতঙ্কিত না হয়ে সকলকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি পাড়া-প্রতিবেশিদের সতর্ক করাই শ্রেয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে- পদ্মা সেতুর কাজে এক হাজার কাটা মুণ্ডু লাগবে। বাচ্চাকাচ্চার মাথা হলে ভালো হয়। সাবালকের মাথা হলেও চলবে। জরুরি ভিত্তিতে এই সহস্র মুণ্ডু সংগ্রহ প্রকল্পের কাজ চলছে। মাথা সংগ্রাহকেরা নানান ছদ্মবেশে বাংলার অলিত–গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিবাবকদের আতঙ্কিত হওয়ার কারন নেই।

ছেলেধরা আতঙ্ক! সম্পূর্ণ গুজব। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে মানুষের মাথা লাগবে বলে একটি মহল সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ব্রিজ নির্মাণে মানুষের মাথা প্রয়োজন হওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি গুজব।

প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এই অবৈজ্ঞানিক বিষয়টি নিয়ে কোন কোন মহল দেশের মধ্যে একধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে, তারা সফল হতে পারবে না, এ ব্যাপারে প্রশাসনের পাশাপাশি সকল সরকারি গয়েন্দা সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। সব থেকে বড় কাজটা করতে হবে জনগণকে। আপনার অভিবাবকরা সচেতন থাকবেন, কোনও গুজবে কান দিবেন না।

জানা যায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে সরকারের পক্ষথেকে এ ব্যাপারে সকল বিদ্যালয়ে সচেতনতামূলক পত্র প্রেরণ করে মানুষের মন থেকে এই ভয় দূর করতে নির্দেশনা দেওযা হয়েছে। ছেলে ধরা গুজব নিয়ে আপনারা অভিবাবকরা আতংকিত না হয়ে, যারা এসব নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে তাদের কে চিহ্নিত করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা জানানো হয়েছে।

“পদ্মা সেতুর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক সবসময়ই ছিল। কাজেই এর নির্মাণকাজ নানভাবে পন্ড করার চেষ্টা করে কোনো একটি মহল রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের চেষ্টা করতেই পারে; বিশেষ করে যখন আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে সব বিষয়কে কেন্দ্র করেই বাজে রাজনৈতিক লড়াই তৈরি করার প্রবণতা রয়েছে।”

তাই আপনরা অভিবাবকরা যতই সচেতন হরেবেন, ততই এধরণের গুজব তৈরি হওয়া এবং ছড়িয়ে পড়া কমবে।” দেশে ছেলেধরা বলতে কিছু নেই।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ