• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন

মায়ের অনুভতি

সম্পাদকীয় / ২২ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২০
মায়ের অনুভতি
সম্পাদক

যখন মা ছিল তখন মাকে নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিলাম কারণ মা অসুস্থ ছিল, শুনেছি মা আমাদের অনেক কষ্ট করে বড় করেছে, পরিবারের সবার ছোট আমি আমার চোখে মায়ের পরিশ্রম দেখি নি, বড় ভাই/বোনে/বাবার বলছে মা অনেক পরিশ্রমী ছিলেন। আমি মাকে দেখছি শুধু অসুস্থতার সময়ে হার্ড, ডায়াবেটিস সহ আরো অনন্যা রোগে আক্রান্ত ছিল। মা যখন অসুন্থ হয় তখন কক্সবাজারে কোন চিকিৎসা হত না, চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যেতাম তখন মা কিছুটা শান্তি অনুভব করত। তখন বাবার অসুখ ছিল না বড় ধরনের।
আজ মা নেই তিন বছর, মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাবার অসুস্থতা শুরু এই পযর্ন্ত – ডাক্তার, হাসপাতাল, ওষুধ নিয়ে দিন যাচ্ছে বাবার। আমি পরিবারের ছোট ছেলে বড় ভাইয়েরা কেউ কাছে নেই তারা বাবার কষ্ট দেখে না সব কিছু আমাকে দেখতে হয়। বাবার জন্য কষ্ট করতে পারলে আমি শান্তি পাই মা মারা যাওয়ার সময় বলে গেছে বাবাকে যেন সুন্দর করে দেখি, কি ভাগ্য মা মারা যাওয়ার সময় পাশে আমি ছিলাম, অন্য ভাইয়েরা ছিল না। মা পরিবারের অনেক কথা বলে ছিলেন আমি তা পালন করতেছি।
একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়ে আল্লাহ আমাকে যতেষ্ট ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দিয়েছে, যা ইনকাম করি তা খরচ করি মাঝে মাঝে অসহায় হয়ে যায়। কারো কাছে যাওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলি আমার মিডিয়া জীবনে বন্ধু বড় ভাইয়ের অভাব নেই সবার সাথে আমি মিলেমিশে থাকার চেষ্টা করি কাউকে আমার কষ্ট বুঝার সুযোগ দিতাম না, হাসি মুখে থাকার চেষ্টা করি নিজের জ্ঞান দিয়ে পরিশ্রম করি। আমার মিডিয়াতে আসার গল্পের মাঝে সততাকে অনেক মুল্যায়ন করি বাকী জীবনটা সৎ ভাবে কাটানোর চেষ্টা করছি, জীবনে বড় ধরনের কোন আশা নেই, বড় লোক হব, অনেক টাকার মালিক হব এসব চিন্তা করি না, যৌবন কালে আল্লাহকে স্বরণ করে থাকার চিন্তা করি। আজ বাবার অবস্থা দেখে বুঝতে পারছি যৌবন কালের ইবাদত আল্লাহ কাছে সব চেয়ে গ্রহন যোগ্য। কারণ বয়স্ক হলে ঠিক মত ইবাদত করতে পারে না বিভন্ন ব্যাথার কারণে। প্রিয় বন্ধুরা এই স্ট্যাটাস লেখা নিজের কষ্ট একটু হালকা করতে চাইলাম এবং আপনারও কিছু জেনে রাখলেন জীবনে হয়ত এমন সময় আসবে আপনার তখন অনুভব করবেন।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ