• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন

হাসপাতাল কর্মচারীদের মারধরে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু

Md. Nazim Uddin / ৪৭ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০

চ্যানেল কক্স ডটকম ডেস্ক:

রাজধানী আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপনকে মারধর করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মোট ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে শেরেবাংলা থানা পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে হাসপাতালের ব্যবস্থাপকও রয়েছেন।

সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তির পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যান শিপন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজধানীর আদাবর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) মো. ফারুক মোল্লা জানান, শিপন সর্বশেষ ট্রাফিকের সিনিয়র এসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আজ সকাল পৌনে ১২টায় তিনি মানসিক সমস্যার কারণে হাসপাতালটিতে যান। ১২টার দিকে সেখানেই মারা যান। দীর্ঘক্ষণ অচেতন থাকা অবস্থায়ও তাকে ভর্তির কার্যক্রম করা হয়নি। ১২টার দিকে তাকে হাসপাতালের লোকজন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যু (ব্রট ডেথ) হয় শিপনের।

ইন্সপেক্টর বলেন, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখলাম, তার হাত চেপে রাখা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬-৭ জনকে থানায় এনেছি। নিহতের মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হবে। জড়িত সবাইকে মামলার আসামি করা হবে।

এদিকে হাসপাতালটির সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে জাগো নিউজের কাছে। এতে দেখা যায়, সকালে আনিসুল করিম শিপন হাসপাতালে ঢোকার পরই ৬-৭ জন তাকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এ সময় মাথার দিকে থাকা দুজন হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করছিলেন। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে শিপনের হাত পেছনে বাঁধা হয়।

চার মিনিট পর তাকে যখন উপুড় করা হয়, তখনই ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন শিপন।

আনিসুল করিম শিপন ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। সর্বশেষ তিনি বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। তিনি এক সন্তানের জনক। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ