এই কথা পাশ থেকে একজন গুুজবী মানুষ শুনে গিয়ে কি বলল? শুনেছো ওখানে মানুষ লাগবে! মাথা লাগবে! হাতও লাগবে! এই কথাটি এক কান দুই কান তিন কান থেকে ধীরে ধীরে প্রলংয়কারী বেগে ছড়িয়ে গেলো দেশান্তরে। কি যে অভিশাপ! কুশিক্ষিত, নোংরা মানষিকতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা গুজবকে পুঁজি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু তাজাপ্রাণ কেড়ে নিল। চরম কস্টের। দেশের মানুষের জন্য লজ্জার। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারণা করা হলেও বন্ধ করা যাচ্ছেনা এই অপপ্রচার গুজব।
দেশব্যাপী একটি দুষ্টচক্র ফেসবুকে এবং ফোনে নানা মুখরোচক গুজব ছড়িয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যাতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাবে সমস্যার সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। এমনকি এই গুজবে এ পর্যন্ত বেশ ক’টি তাজা প্রান ঝড়ে গেছে। গণপিটুনিতে আহত হয়েছেন অনেক। পঙ্গুত্ববরণ করেছেন অনেকে। সরকারের পক্ষ থেকে রাজধানী থেকে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে গুজবের কথা। কিন্তু তাতেও যেন কাজ হচ্ছেনা। কেউ কেউ কল্লা (মাথা)ফেসবুকে দিয়ে প্রচারও করছে। গুজবের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সারাদেশের বেশকিছু গুজবকারীকে ইতিমধ্যে আইনের আওতায়ও আনা হয়েছে। তাই প্রয়োজন এখনই গুজব বন্ধ করা। কারন, এই দেশটি আমার-আপনার ১৮ কোটি মানুষের। আর এই গুজবে প্রান দিতে হতে পারে আপনার-আমার নিকটজনকেও। তাই এখনি থামুন। গুজব থেকে নিজের সমাজ ও দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসুন।
আপনার চোখে সন্দেহজনক কাউকে দেখলে নিকটস্থ পুলিশে খবর দিন। আইন নিজের হাতে নেয়া দন্ডনীয় অপরাধ। প্রশাসনের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসা উচিত। এগিয়ে আসা উচিত জনপ্রতিনিধিদের। এক কথায় সমাজের সকল শ্রেনীপেশার লোকজনকে গুজবের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসা উচিত। আসুন, এইসব বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।
আহমেদ আবু জাফর, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি, ২৫ জুলাই ২০১৯।