• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০১ অপরাহ্ন

হোটেলে রুম নিয়ে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা মাতারবাড়ীর ইয়াবা শুক্কুরের

Md. Nazim Uddin / ২৮ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ২১ মার্চ, ২০২১

(প্রতিবেদন ০১)

লবন ব্যবসার আড়ালে গত ৫/৬ বছর আগে থেকে ইয়াবা ব্যবসা শুরু করছিল মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সিকদার পাড়া (সাবেক মহিলা মেম্বারের বাড়ী) এলাকার মকবুল আহমদের ছেলে আব্দু শুক্কুর। মাতারবাড়ী নতুন বাজার এলাকার ১নং ওয়ার্ডের নুরুল আলমের ছেলে কাউসার আর ৪নং ওয়ার্ডের মনখালীপাড়ার কাছিম আলীর ছেলে মাহমুদুল হক মিলে একটি সিন্ডিকেট গঠন করে লবন বোঝাই বোটে মাতারবাড়ী থেকে চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় পৌছে দিত ইয়াবা। ১/২ বছর নির্বিঘ্নে ইয়াবা পোছে দিয়ে হয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকার মালীক। গত ২০১৫ সালে তার পার্টনার কাউসার ঢাকায় একটি ইয়াবার বড় চালান নিয়ে ধরা পড়লেই এলাকার জানাজানি হয়ে যাওয়ায় কিছুদিন আত্ম গোপনে থাকে শুক্কুর।

তখন কাউসারের পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে তাদের নাম স্বীকারোক্তিতে না বলার জন্য, যদি বলে তাকে (কাউসার) তাড়া জামিনে ছাড়াতে পারবে না। এর পর ২০১৭ সাল থেকে কক্সবাজার শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের অভিজাত হোটেলে রুম নিয়ে সারাবছর রুম থেকে বাহির না হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডের ইয়াবা ডন হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে অভিজাত হোটেলে রুম নিয়ে অন্য কোন ব্যবসা ছাড়া সে বর্তমানে কোটি টাকার মালিক বনে গেল কি ভাবে তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করেন সচেতন মহল। সে বর্তমানে-লালদীঘির উত্তর পাড়ের হোটেল নীদ মহলের পশ্চিমের বিল্ডিংয়ের ৫ম তলায় একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে।

অনুসন্ধানে জানা যায় বর্তমানে মহেশখালী ও চট্টগ্রাম ভিত্তিক প্রায় ৫০ জনের একটি টিম ইয়াবা পাচার ও সংগ্রহে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে এই তিন বন্ধু সিন্ডিকেট অন্যতম। এই তিন বন্ধু সিন্ডিকেটের একটি বড় ইয়াবার চালান যখন কাউসারসহ ঢাকায় আটক হয়, তখন থেকে বাকি দুইজন আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাই। হোটেল রুমে বসে বিভিন্ন পার্টির কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুকৌশলে ইয়াবার চালান গুলো পৌছে দিতেন। দীর্ঘদিন যাবৎ বঙ্গবন্ধু সড়কের অভিজাত হোটেলের ২০৩নং রুম ইয়াবা ডন শুক্কুরের নামে বুকিং ছিল, সেই সাথে ইয়াবার বিভিন্ন পার্টি আসলে ২০৪নং রুম ব্যবহার করতো। ইয়াবা বুঝে দেওয়া ও নেওয়ার একটি গোপন ভিডিও আমাদের হাতে রক্ষিত রয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, আন্ডার গ্রাউন্ডের ইয়াবা ডন শুক্কুর সাহেব ২০৪ নাম্বার রুমের কক্ষে বসে একটি ওষুধের বাক্স থেকে নীল রঙ্গের অনেকগুলো ইয়াবার প্যাকেট বাহির করে। সেই ইয়াবার প্যাকেটগুলো প্রতিটি প্যাকেট ঢেলে ভিজিটিং কার্ডের মাধ্যমে একটি একটি করে গুনে পুনরায় প্যাকেট করে নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দু শুক্কুর বলেন, আমার কিছুই বলার নেই, আপনারা ভাল খারাপ যাচাই করেন বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।

মাতারবাড়ী এলাকার ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মুজিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাড়া তিনবন্ধু সিন্ডিকেটে ব্যবসা করতো শুনেছি। তবে শুক্কুর এখন মাতারবাড়ীতে থাকে না, সে অধিগ্রহণের টাকা তুলতে সে-যে গেছে কক্সবাজারে আর আসে নাই। বর্তমানে কক্সবাজারে থাকে জানি। আর কাউসার বিগত দুই থেকে তিনমাস আগে ইয়াবা মামলায় জামিনে এসে এলাকায় বসবাস করতেছে।

মহেশখালী থানার ওসি তদন্ত আশিক ইকবাল বলেন, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে সরকারের মাদক বিরোধী চলমান অভিযানে কেউ রেহাই পাবেনা।

(চোখ রাখুন প্রতিবেদন ০২)


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ