• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন

ভুয়া কাবিনে বিয়ের পর সংসার, অতঃপর যা ছিলো নার্সের কপালে

ডেস্ক নিউজ / ১৩ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১

যশোরের চৌগাছায় এক ইউনিয়ন জামায়াতের আমিরের ছেলের বিরুদ্ধে ভুয়া কাবিনে বিয়ে ও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন এক নারী। অভিযুক্ত আব্দুর রহমান চৌগাছার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির এবং আন্দারকোটা মহিলা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা আবু বকরের ছেলে। সাবেক শিবির নেতা আব্দুর রহমান বর্তমানে বরিশালের গৌরনদীতে ইবনে সিনা ফার্মসিউটিক্যালসের মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত আছেন।

ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, তিনি চৌগাছা শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের নার্স। দেড় বছর আগে আব্দুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর ঘনিষ্ঠতা, পরে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল আব্দুর রহমান যশোর শহরে নিয়ে কাবিননামার কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে হয়েছে বলে জানান।

আব্দুর রহমান কর্মস্থলে যাওয়া-আসাসহ রাতযাপন ও দৈহিক মেলামেশা করেছে। পরে এক সময় জানতে পারেন তার বিয়ের কাবিননামা ভুয়া। তখন স্থানীয়ভাবে গত পহেলা মার্চ তাদের বিয়ে হয়। এরপর তিনি গর্ভবতী হন। এরইমধ্যে জানতে পারেন আব্দুর রহমান ১৪ মার্চ তাকে তালাক দিয়েছেন। তবে তালাক নোটিশ এখনো হাতে পাননি। কোনো উপায় না পেয়ে বাচ্চাটি নষ্ট করতে বাধ্য হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

রোববার (২১ মার্চ) ওই নারী যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চৌগাছা আমলী আদালতে স্বামী আব্দুর রহমান, শ্বশুর মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, শাশুড়ি শামসুন্নাহার এবং স্বামীর বোন আসমার বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা আইনে একটি মামলা করেন। এছাড়াও তার স্বামী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে জুডিশিলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা করেছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে আব্দুর রহমানকে ফোন করলে প্রথমে বিয়ের ঘটনাটি ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেন। পরে বলেন, আমরা বন্ধু ছিলাম এবং তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিয়ে করেননি তাহলে তালাক পাঠিয়েছেন কেন এমন প্রশ্নে ফোন কেটে দেন রহমান।

তার বাবা বলেন, আমি আগে কিছুই জানতাম না। ১৫ মার্চের পর জেনেছি আমি। ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা করছি। এ নিয়ে লেখালিখি না করার জন্য বারবার অনুরোধও জানান তিনি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ