• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিলাকে মারধর, থানায় এজহার

Md. Nazim Uddin / ১৫ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি:

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় উত্তর ধুরুং এলাকার ৮নং ওয়ার্ড়ের নাথ পাড়ায় স্কুল পড়ুয়া ২জন শিক্ষার্থী সহ তিন মহিলাকে নির্যাতন ও মারধর করে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার ফজল করিমের ছেলে মানিক(২৪) ও সোনা মিয়া(২৬) নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে৷ নির্যাতনের শিকার ঐ এলাকার আবু ছৈয়দের স্ত্রী ছাদেকা বেগম(৪০), তাঁর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে জয়নব বেগম(১৬) ও মেহেদী আকতার(১৪)৷ এব্যাপারে কুতুবদিয়া থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করা হয়েছে৷ গত ০৫ এপ্রিল সকালে এই মারধরের ঘটনাটি ঘটে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

এজহার সূত্রে জানাযায়, পাঁচ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাত টা নাগাদ পূর্বের রাতে ঝড় বৃষ্টিতে আবু ছৈয়দের ভিটের সীমানায় তার গাছ থেকে ভেঙ্গে পড়া ডালপালা অভিযুক্ত মানিক ও ফজল করিম কেটে নিয়ে যেতে চাইলে আবু ছৈয়দের স্ত্রী ছাদেকা বেগম তাতে বাঁধা প্রদান করেন, তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিগন ছাদেকা বেগম কে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে অর্ধেক কাঠ নিয়ে চলে যায়৷ একই দিন সকালে সাড়ে দশ টার দিকে ছাদেকা নিজের ননদকে ভিটের সীমানা ও নিয়ে যাওয়া কাঠের ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওত পেতে থাকা মানিক ও সোনা মিয়া সন্ত্রাসী কায়দায় খন্তা, লাঠিসোঁটা নিয়ে আবু ছৈয়দের ভিটায় প্রবেশ করে তাঁর স্ত্রীকে টেনে হেঁচড়ে লাঞ্ছিত করে এবং বেধড়ক ভাবে মারতে থাকে, এক পর্যায়ে ছাদেকা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর স্কুল পড়ুয়া দুই মেয়ে তাঁকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা তাদেরকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে ও মারধর করে বলে অভিযোগে উঠে আসে৷ তাঁদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে পাঠান৷ কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা গুরুতর দেখে ছাদেকা বেগম কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন৷

এছাড়াও সারাবছর কথায় কথায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযুক্তরা আবু ছৈয়দের পরিবার কে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করে আসছে এবং অভিযুক্তদের রেজাউল করিম নামে এক ভাই পুলিশে চাকরি করার সুবাদে সেটার প্রবাভ খাটিয়ে তারা নিয়মিত এই গর্হিত কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে মৌখিক ভাবে প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ তুলেছেন নির্যাতিত পক্ষ৷

এব্যাপারে জানতে চাইলে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, একটা এজহার থানায় পেয়েছি, আমার অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে, অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব৷


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ