• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন

মা-বাবা হারিয়ে দিশেহারা তিন শিশু অনিশ্চিত ভবিষ্যত জীবন

Md. Nazim Uddin / ১১ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১

কাইছার সিকদার:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের আলী বাপের পাড়া ৪নং ওয়ার্ড়ের বাসিন্দা চাষী ইসমাইল ৩৫ বছর বয়সেই হঠাৎ মারাযান তার স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে প্রায় দুই বছর আগে, কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর কষাঘাত তাতে ক্ষান্ত হয়নি, ঐ অবুঝ তিন শিশুকে সম্পূর্ণ একা করে গত সপ্তাহে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন মা রূপা আকতার, তিন অবুঝ শিশু সন্তান নিমিষেই হয়ে গেল পৃথিবীতে সম্পূর্ণ একা ও অসহায়৷

মাতাপিতাহীন এই তিন শিশুরা হলেন, মাইমুনা আক্তার (১০), তানিয়া সোলতানা (৭) ও বাপ্পী(৫)৷ বৃদ্ধ দাদী নুরুন নাহারের(৬০) সাথে আপাতত ঠাঁই হলেও নেই ভবিষ্যতের কোন নিশ্চয়তা, বন্ধ হয়ে যেতে পারে পড়াশুনা, এমন কি ঐ শিশুদের পেটের ভাত কোথা থেকে জুটবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই৷

দাদী নুরুন্নাহার বলেন, এই এতিম শিশুদের মুখের দিকে থাকানো যায়না, কেউ নেই বলে আমি তাদের সাথে থাকি, আমি নিজেই খেতে পাইনা ঠিকমত তাদের পেটে কোথা থেকে দেব৷ আমার এক পা কবরে চলে গেছে যে কোনদিন আমি মরে যেতে পারি কিন্তু এই অবুঝ বাচ্চা গুলোর কি হবে? আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাই মা-বাবা ছাড়া অসহায় এই শিশুদের ভবিষ্যতের একটা নিশ্চয়তা প্রদান করা হোক৷

স্থানীয় ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী মোঃ ইসমাইল বলেন, মা-বাবা দুজনেই মারা যাওয়ার পরে এই ছোট তিন শিশু কন্যা পৃথিবীতে সম্পূর্ণ একা হয়ে গেছে, তাদের ভবিষ্যৎ একেবারেই অনিশ্চিত হয়ে গেছে, পড়ালেখা তো দূরে থাক খাওয়া পড়ার ও কোন নিশ্চয়তা নেই৷ এই অবস্থায় আমরা যা পারি প্রথমিক ভাবে সহযোগিতা করেছি, সরকারি দপ্তর থেকে কোন সহযোগিতা পেলে অবশ্যই সেটা ভাল হত৷

এব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন জানান, এতিম তিন শিশু কন্যাদের ব্যাপারে আগে কেউ বলেনি। আগামীতে নতুন কোন সুযোগ হলেই অবশ্য তাদেরকে ব্যবস্থা করে দেয়া হবে বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আকতার আহমেদ এব্যাপারে বলেন, এদের জন্য আমি কিছুই করতে পারব না, আমার কিছু করার নেই৷


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ