• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন

কুতুবদিয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ৯জন

Md. Nazim Uddin / ১২ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের মশরফ আলী সিকদার পাড়ায় টিউবওয়েল এর পানি চলাচল কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে৷ ঘটনায় উভয় পক্ষের নারী শিশু সহ অন্তত নয় জন আহত হয়েছেন৷ আহতরা হলেন, মোঃ কাইছার(৪৭), শাকাওয়াত হোসেন(২৫), জোনাকি আক্তার(৩২), মোঃ রিমন(২২), রেকসিনা আক্তার(২৮), মোঃ তামিম(১৬), মোঃ ছাদেক(৩৫), কনিকা বেগম(২৬), রাজিয়া(৬০)৷ বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল বেলা সাড়ে বারটার সময় এই মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানাযায়৷

প্রত্যক্ষ্যদর্শী আল হেলাল রনী জানান, কালাবাসির ছেলে ছাদেকের টিউবওয়েলের পানি চলাচলের রাস্তার উপর দিয়ে ছেড়ে দিলে ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলরত জালাল মিয়ার পরিবার এব্যাপারে আপত্তি করলে বিগত এক সপ্তাহব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করে আসছিল, এই বিরোধ নিরসন করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ ছাফা বিকম তিন সদস্য বিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদল পাঠান, বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল আনুমানিক সাড়ে বারটার সময় প্রতিনিধি দল উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে প্লাষ্টিকের পাইপ বসিয়ে পানি সরানোর সুব্যবস্থা করার কথা বলে এবং তাতে উভয় পক্ষ সম্মত হন, এক পর্যায়ে ছাদেক পাইপের উপরি ভাগে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে আপত্তি জানান এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এর এক পর্যায়ে ছাদেক দলীল মিয়াকে লোহার রড় দিয়ে আঘাত করলে দুই পক্ষই ইটপাটকেল, লাঠি দিয়ে একে অপরের উপর হামলা করতে থাকে প্রতিনিধি দলের সম্মুখেই৷ এতে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন৷ ছাদেক, তার স্ত্রী কনিকা এবং তার মা রাজিয়া ততক্ষণাত চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে চলে যান কিন্তু প্রতিপক্ষের আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা করাতে হাসপাতলে নিতে বাঁধ সাধে ছাদেকের স্ত্রীর ভাই একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড়ের শাহাব উদ্দিনের ছেলে মোশাররফ৷ এলাকাবাসির সহযোগীতায় মোশারফকে চেয়ারম্যানের কাছে উপস্থিত করলে চেয়ারম্যান তাঁকে কোন ধরনের বিবাদ ও ঝামেলা না করতে মানা করেন৷ দীর্ঘ সময় পর মোঃ কাইছার, শাকাওয়াত হোসেন, জোনাকি আক্তার, মোঃ রিমন অবশেষে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে আসতে সক্ষম হন চিকিৎসা নিতে৷

অপরদিকে কাইছার রা হাসপাতালে পৌছালে পূর্ব পরিকল্পনা মত ছাদেকের পক্ষের ৪/৫জন লোক দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় তাঁদের উপর হাসপাতাল প্রাঙ্গনে, এমনটি জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন৷ সাকিব নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এই হামলা সম্পূর্ণ মোশারফের নেতৃত্বে হয়েছে৷ এসময় নামাজ শেষে ফেরা মোসল্লি সহ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে কমপক্ষে ৩০জন লোক উপস্থিত ছিলেন৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় তাঁরা উদ্ধার পেলে ও দীর্ঘসময় ধরে তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন সাকিব সহ দ্বিতীয় দফার হামলায় আহত লোকজন৷

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে উপস্থিত হন কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিনে নেতৃত্বে প্রায় দশ জনের একটি পুলিশ টিম৷ পরে থানা পুলিশের সহায়তায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়৷ এসময় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আহতদের ব্যাপারে তথ্য নিতে গেলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান হাসপাতালে কর্তব্যরত কাদের নামে এক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী৷

এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মোশারফ জানান, প্রথম ঘটনায় আমি উপস্থিত ছিলাম কিন্তু আমি সম্পূর্ণ ভাবে নিজেকে বিরত রেখেছি ঘটনা থেকে, সেটা ভিডিও ফুটেজ দেখলে বুঝা যাবে৷ হাসপাতালে যে হামলার ঘটনার কথা বলতেছে সেখানে আমি ছিলাম না, আমি সেটা লোকমুখে শুনেছি৷ আমার বিরুদ্ধে হয়ত কেউ অপপ্রচার চালাচ্ছে৷

এব্যাপারে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, হাসপাতালে হামলা হচ্ছে সেটা খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে পৌছাই, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করি৷ এনিয়ে ধুপক্ষই থানায় এজাহার দায়ের করেছে, অভিযোগ সুনির্দিষ্ট হলে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব৷


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ