• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন

ইসরাইল-ফিলিস্তিন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক পরিবর্তনের নেপথ্যে

ডেস্ক নিউজ / ২৬ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ২২ মে, ২০২১

এই পরিবর্তন নাটকীয়, গভীর পরিবর্তন,’ বলেন আমেরিকার প্রখ্যাত জনমত জরিপকারী জন জগবি, যিনি গত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে জনমতের ওপর নজর রাখছেন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্ম এখন ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে অনেক সহানুভূতিশীল। এই পরিবর্তনের প্রতিফলন পড়ছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমেরিকার প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেছেন। বারবার তিনি বলেছেন, আত্মরক্ষার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে। কিন্তু দলের ভেতর তিনি বেশ বেকায়দায় পড়ছেন। কারণ ডেমোক্র্যাট শিবিরে এখন গাজা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের অবস্থা নিয়ে অনেক বেশি উদ্বেগের সুর শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য ইসরাইলকে সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে।

কংগ্রেসে বৈচিত্র্য ও তার পরিণতি
ইসরাইল-ফিলিস্তিনি ইস্যুতে ডেমোক্র্যাট দলে যে পরিবর্তন, তার কারণ খুঁজতে হলে মার্কিন কংগ্রেসের দিকে তাকাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনসভায় ঐতিহাসিকভাবে ইসরাইলের প্রতি প্রায় একতরফা সমর্থন দেখা গেছে। এর পেছনে প্রধান কারণ ছিল প্রভাবশালী ইহুদি ভোট, যা ডেমোক্র্যাটদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দিকে ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান সম্প্রদায়, যারা কট্টর ইসরাইলপন্থী। তারা রিপাবলিকানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোট ব্যাংক। এই দুই ভোট ব্যাংকের বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যে সঙ্ঘাতের ব্যাপারে ইসারাইলি ব্যাখ্যাই সবসময় কংগ্রেসে মেনে নেয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে এটাই প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের ভেতর দিনকে দিন বৈচিত্র্য আসছে। একইসাথে ইসরাইল প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত নীতি চাপের মধ্যে পড়েছে।

জরিপ সংস্থা পিউ ফাউন্ডেশন স্টাডি বলছে, ২০২১ সালের নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদ ও সেনেটে নির্বাচিত সদস্যদের ২৩ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ, হিসপানিক, এশীয় ও আদি মার্কিণ বংশোদ্ভূত। এটি একটি রেকর্ড। বিশ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১১ ভাগ। ১৯৪৫ সালে ছিল মাত্র এক ভাগ।

রাশিদা তালিব ও ইলহান ওমর
আইন সভায় প্রতিনিধিত্বে এই বৈচিত্র্যের কারণে বিভিন্ন ইস্যুতে মতামতের ভিন্নতা বাড়ছে। ক্ষমতা ও প্রভাবের ভরকেন্দ্র পাল্টে যাচ্ছে। কংগ্রেসে তরুণ, প্রগতিশীল কয়েকজন সদস্যের একটি জোট, যেটি স্কোয়াড নামে পরিচিতি পেয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন মিশিগান থেকে নির্বাচিত ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা তালিব। মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত ইলহান ওমর। এই স্কোয়াডের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত আলেকজান্ডার ওকাসিও কর্টেজ, যিনি প্রাইমারিতে সিনিয়র ডেমোক্র্যাট জো ক্রাউলিকে হারিয়ে দলের টিকেট পেয়ে জিতেছেন।

জো ক্রাউলি ছিলেন ইসরাইলের কড়া একজন সমর্থক। ফলে এখন নিউ ইয়র্কের ডেমোক্র্যাটদের ভোটারদের যে প্রোফাইল তার সাথে ৩১ বছরের পোর্টো-রিকান বংশোদ্ভূত ওকাসিও-কর্টেজ ৫৯ বছরের ক্রাউলির চেয়ে অনেক বেশি খাপ খান।

জন জগবি বলেন, ‍‘ডেমোক্র্যাট শিবিরে এখন উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় অশ্বেতাঙ্গ রয়েছেন, যারা অন্য অশ্বেতাঙ্গদের প্রতি আচরণ নিয়ে অনেক বেশি স্পর্শকাতর। তারা ইসরাইলকে একটি আগ্রাসী শক্তি হিসেবে দেখে। তারা ইসরাইলের শুরুর দিকে ইতিহাস তেমন জানে না।’

তিনি বলেন, ‘এই প্রজন্ম ইনতিফাদা পরবর্তী পরিস্থিতি জানে। তারা দু’পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধের কথা জানে। তারা ইসরাইলি বোমা হামলা দেখছে, নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু দেখছে।’

বার্নি ফ্যাক্টর
কংগ্রেসে এই বৈচিত্র্যের পেছনে প্রধান কারণ হলো, যুক্তরাষ্ট্রে প্রগতিশীল বাম-ধারার একটি সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলন, যার পরিণতিতে ওকাসিও কর্টেজের মতো রাজনীতিক নির্বাচিত হয়েছেন। এই বাম-প্রগতিশীল আন্দোলনের পেছনে মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন ভারমন্টের ডেমোক্র্যাট সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স।

ইহুদি পরিবারে জন্ম বার্নি স্যান্ডার্স ষাটের দশকে বেশ কয়েক বছর ইসরাইলে বসবাস করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে তিনি ইসরাইলের প্রতি সহানুভূতিশীলও ছিলেন। ২০১৬ সালে সালে তিনি প্রথম যখন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেন, তখন তার মুখে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের কথা শোনা যায়, যেটা ছিল ডেমোক্র্যাট শিবিরে একটি ব্যতিক্রম।

২০১৬ সালের মার্চে যখন হিলারি ক্লিনটনের সাথে প্রার্থিতার লড়াইয়ের বিতর্ক চলছিল, এ সময় হামাস ইসরাইলে রকেট হামলা শুরু করেছিল। বার্নি স্যান্ডার্স তখন খোলাখুলি ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। তুলে ধরেন তাদের বেকারত্ব, ‌ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, স্কুল ও হাসপাতাল।

এ সময় গার্ডিয়ান পত্রিকার এড পিলকিংটন লিখেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনি দুর্ভোগের কথা বললে নির্বাচনে হারতে হবে বলে যে অলিখিত রীতি প্রচলিত ছিল, তা ভেঙে ফেললেন বার্নি স্যান্ডার্স।‌’

অবশ্য স্যান্ডারস প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার দু’টি লড়াইতেই হেরে যান। তবে তার এই মতামত ডেমোক্র্যাট দলের বহু সমর্থক হতে তুলে নেয়। একইসাথে , শিক্ষা, চিকিৎসা, মজুরির সাম্যতা ও পরিবেশ ইস্যুতে আন্দোলনকারী বিভিন্ন প্রগতিশীল প্লাটফর্মগুলোতে স্যান্ডার্সের ওই অবস্থান জনপ্রিয়তা পায়।

প্রার্থী হতে না পারলেও বার্নি স্যান্ডার্স তখন থেকেই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা বাড়িয়ে চলেছেন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বেপরোয়া বর্নবাদী ও একনায়ক‌ বলে একাধিকবার প্রকাশ্যে নিন্দা করেছেন।

গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় এক মন্তব্য প্রতিবেদনে এই সঙ্ঘাত নিয়ে যে সব কথা তিনি বলেছেন, তা এখন ডেমোক্র্যাটিক দলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের মতামতের প্রতিফলন। বার্নি স্যান্ডার্স লেখেন, ‍‘যেটা সত্য তা হলো ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনি এলাকায় ইসরাইল-ই একমাত্র সার্বভৌম রাষ্ট্র। শান্তি ও সুবিচারের পথে না গিয়ে তারা তাদের ভারসাম্যহীন ক্ষমতা এবং অগণতান্ত্রিক দখলদারিত্ব শক্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত।’

ফিলিস্তিনি জীবনেরও দাম আছে
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই মন্তব্য প্রতিবেদনের শেষে স্যান্ডার্স লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রে ‍নতুন প্রজন্মের এক আন্দোলনকারী প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে।‍ তিনি লেখেন,‍ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় আমরা এই আন্দোলনকারীদের দেখেছি। আমরা ইসরাইলে তাদের দেখেছি। আমরা ফিলিস্তিনি এলাকায় তাদের দেখেছি।

স্যান্ডার্সের শেষ শব্দগুলো ছিল, ‌‌‘ফিলিস্তিনি লাইভস ম্যাটার‌’ অর্থাৎ ফিলিস্তিনি জীবনেরও দাম রয়েছে।

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান তুলে যুক্তরাষ্ট্রে যারা রাস্তা কাঁপিয়েছেন, তাদের নজর ঘুরেছে এখন ফিলিস্তিনি-ইসরাইল সঙ্ঘাতের দিকে। তারা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ন্ত্রণহীন নির্যাতন চলছে।

বৃহস্পতিবার সেন্ট লুইস থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সদস্য কোরি বুশ কংগ্রেসের অধিবেশনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‍সেন্ট লুইসের মানুষ আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন জীবন বাঁচাতে। তার অর্থ আমাদের পয়সায় পুলিশের সামরিকীকরণ, অন্যের জায়গা-জীবন দখল, সহিংস দমন-পীড়নের বিরোধিতা করি আমরা। আমরা যুদ্ধবিরোধী, দখলদারিত্ববিরোধী ও আ্যাপারথেইড (জাতিভেদ) বিরোধী।’

‘পুলিশকে টাকা বন্ধ করে দাও’ স্লোগানের মতো এখন ‘ইসরাইল সেনাবাহিনীতে টাকা বন্ধ করে দাও’ স্লোগান উঠতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিবি
যুক্তরাষ্ট্রে এখন প্রায় সমস্ত নীতি নিয়ে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মেরুকরণ হচ্ছে। ইহুদি রাষ্ট্রের ব্যাপারে মার্কিন নীতিও এখন ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে ইসরাইল সমর্থকদের জন্য বড় ধরনের অস্বস্তি তৈরি করছে। তার কারণ, দীর্ঘ দিন ধরে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় থাকা ও মার্কিন দক্ষিণপন্থীদের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরির চেষ্টা অনেক ডেমোক্র্যাটের জন্য অস্বস্তি তৈরি করছে।

ওবামার সময়ে ২০১৫ সালে রিপাবলিকানদের আমন্ত্রণে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে নেতানিয়াহুর ভাষণ ও ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি যাতে কংগ্রেস অনুমোদন না করে তার সেই আহ্বান অনেক ডেমোক্র্যাট ভোলেননি।

এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পুরো চার বছরের ক্ষমতাকালে নেতানিয়াহু ও ইসরাইলি ডানপন্থীদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের মানবিক সাহায্য বন্ধ করে দেন। মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুসালেমে নিয়ে আসেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন আপস মীমাংসায় ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছেন।

২০১৫ সালে কংগ্রেসের অধিবেশনে এক ভাষণে নেতানিয়াহু ইরানের সাথে পারমানবিক চুক্তি অনুমোদন না করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, যেটি এখনো বহু ডেমোক্র্যাট ভোলেননি। এসব কারণে এমনকি মধ্যপন্থী অনেক ডেমোক্র্যাটও ফিলিস্তিনি ইস্যুতে তাদের পুরনো অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে শুরু করেছেন।

জগবি বলেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তার মতে, ইসরাইলি স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেও ট্রাম্প ইহুদি ভোটারদের কাছে থেকে তেমন সমর্থন আদায় করতে পারেননি। তিনি মিথ্যা আশা করে বসেছিলেন। জগবি বলেন, ‘মার্কিন ইহুদিরা মূলত উদারমনা ও প্রগতিশীল একটি সম্প্রদায়।’

সনাতনী ধরার বাইডেন
ওয়াশিংটনে কংগ্রেসর ভেতর ইসরাইল নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বিতর্কের গতিধারায় বেশ কিছু দিন ধরে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু হোয়াইট হাউজের কাজে তার ছিটেফোঁটা প্রতিফলন সবে দেখা দিতে শুরু করেছে। সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমারের মতো ঘোরতর ইসরাইলি সমর্থকও যখন যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন, জো বাইডেন তখনও চুপ ছিলেন। যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবও আটকে দেয় হোয়াইট হাউজ।

জো বাইডেনের সাথে নেতানিয়াহুর প্রথম টেলিফোন আলাপ নিয়ে যে বিবৃতি দেয়া হয়, তাতে ইসরাইলের বিন্দুমাত্র সমালোচনা ছিল না। বরং ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের কথাই তুলে ধরা হয়। এই সঙ্ঘাত শুরুর ঠিক আগেই ইসরাইলকে প্রায় ৭৪ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির এক চুক্তি অনুমোদন করেন জো বাইডেন। সন্দেহ নেই বাইডেন একটি সরু দড়ির ওপর হাঁটছেন।

কংগ্রেসে তার গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলো পাশ করাতে দলের বামপন্থী অংশের সমর্থন তার জন্য জরুরি। এখন পর্যন্ত দলের এই অংশটি প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করছে। কিন্তু ইসরাইলের যে আচরণকে তারা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে দেখে এগুলোকে যদি প্রেসিডেন্ট পাত্তা না দেন তাহলে তাকে ত্যাগ করতে তারা দ্বিধাবোধ করবেন না।

‘আমরা বেশ কিছু দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ক্রমাগত বাড়তে দেখছি। কিন্তু এটি তত বড় কোনো ইস্যু হয়নি,’ বলেন জগবি। তার মতে, ‘কিন্তু এখন এটি বড় ইস্যু হয়ে উঠছে, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। এর পেছনে শক্তি হচ্ছে অশ্বেতাঙ্গ ও তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা এবং দলের প্রগতিশীল অংশ।’

পররাষ্ট্র নীতিতে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে জনমতের এই প্রতিফলন এখনো তেমন নেই। বাইডেন এখনো বিষয়টিকে ততটা গ্রাহ্য করছেন না। কিন্তু ডেমোক্র্যাট শিবিরের ইসরাইলি সমর্থকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। তারা ভয় পাচ্ছেন, বহু বছর ধরে জনকল্যাণের ইস্যুতে বাইডেনের যে গ্রহণযোগ্যতা তা নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। রাজনীতিকরা তদের সমর্থকদের বেশি দিন অবজ্ঞা করে টিকে থাকতে পারেন না।

সূত্র : বিবিসি


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ