• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:১০ অপরাহ্ন

জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম শাখায় প্রদীপ রুদ্র’র রাম রাজত্ব

এম.এ আজিজ রাসেল / ৩১ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ১৬ জুন, ২০২১

এম.এ আজিজ রাসেল
জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম শাখায় প্রদীপ রুদ্র’র রাম রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রেকর্ড রুমে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংরক্ষিত থাকে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে সেবাপ্রার্থীদের সেবা দেয়া হয়। কিন্তু প্রদীপ রুদ্র রেকর্ড শাখায় নানা কৌশলে তিনি সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। তাঁর অনিয়ম দুনীর্তির কারণে অন্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা প্রশাসনের খাস জায়গা দখলদারদের তালিকায় প্রদীপ রুদ্রের নামও রয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, তারঁ চালচলন সাধারণ মানুষের ন্যায়। তবে এটি সবার চোখে ধুলো দেয়ার কৌশল। দেখে বুঝা যাবে না তিনি নিরবে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। নেপথ্যে তাঁর বিলাসী জীবনযাপন দেখে খোদ হতবাক এলাকাবাসী। শহরের বৈদ্যঘোনায় সরকারি খাস জমি দখল করে গড়ে তুলছেন অনুমোদনহীন বহুতল ভবন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হয়েও খাস জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বিল্ডিং নিমার্ণ নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাঁর আয়ের উৎস নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে চলছে কানাঘুষা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রদীপ রুদ্র কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম শাখায় অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন। সেখানে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি ও তথ্য সেবা তাঁর হাত ধরেই দেওয়া হয়। রেকর্ড রুমে টাকা ছাড়া তিনি কোন সেবা দেন না বলে জানা গেছে। তাঁর চাহিদা মতো টাকা না দিলে আটকে দেওয়া হয় ফাইলসহ নানান সেবা। টাকা দিলেই সাত খুনও মাফ তাঁর কাছে। তাঁর এমন কর্মকান্ডে খোদ সহকর্মীরাও বিব্রত। বৈদ্যঘোনার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, দুনীর্তির টাকায় তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন। পরিবার ও স্বজনদের নামে বিভিন্ন জায়গায় কিনেছেন একাধিক জমি। রয়েছে নামে—বেনামে ব্যাংক একাউন্টও। সম্প্রতি তিনি অর্ধকোটি টাকা খরচ করে খাস জমিতে ৫ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। ইতোমধ্যে দুইতল পর্যন্ত ওই ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন তিন তলার কাজ চলছে। ভবন নির্মাণে নেয়া হয়নি কউক’র অনুমতি। জেলা প্রশাসনে কর্মচারি হয়ে কিভাবে খাস জায়গায় বহুতল ভবন উঠছে এ নিয়ে চলছে সমালোচনা ঝড়। তবে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে প্রদীপ রুদ্র বলেন, তিনি দুনীর্তি—অনিয়মের সাথে জড়িত নয়। একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আর ওই ভবনটি তাঁর বোন জামাতার। বোন জামাতার ভবনে ৩টি রুম নিয়ে পরিবার নিয়ে থাকেন। তিনি প্রতিবেদককে সরাসরি দেখা করতে বলেন।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, কক্সবাজার শহরে খাস জায়গা ও পাহাড় দখল করে অনেকেই বসবাস করছে। তাঁদের সরানোর উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন। তবে জেলা প্রশাসনের কর্মচারি হয়ে খাস জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ মোটেও সমুচিত নয়। খাস জায়গায় বহুতল নির্মাণসহ তাঁর অনিয়ম—দুর্নীতির বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, খাস জায়গায় বসবাসকারীদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হচ্ছে। প্রদীপ রুদ্রের বিষয়ে খোঁজ—খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ