এর মধ্যে মাহফুজ আহমেদের সঙ্গে ফিজআপের বিজ্ঞাপনে কাজ করা নিয়ে বেশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন তিনি। উচ্ছ্বাসের কারণ জানতে চাইলে কাজল বলেন, ‘আগে থেকেই আমি মাহফুজ আহমেদের ফ্যান। ফলে শুটিংয়ের সময় যখনই ওনার দিকে লুক দিচ্ছিলাম তখনই ক্রাশ খেয়ে যাই এবং আউলা হয়ে যাই। এ কারণে একটা শট বারবার দিতে হয়েছে।’
মাই ডিয়ার দাদা ভাই, আবাসিক হোটেলসহ বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে প্রশংসিত হন কাজল সুবর্ণ। ‘মাই ডিয়ার দাদা ভাই’ নাটকে কাজলের বিপরীতে কাজ করেন আফরান নিশো। এ ছাড়া তার অভিনীত এবার ঈদে প্রচারিত ‘বাবা’ নাটকটিও বেশ প্রশংসিত হয়।
কাজল বলেন, ‘বাবা, নাটকে অভিনয়ের কারণে আমি বেশি প্রশংসা পেয়েছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে একদিন উবারে করে যাচ্ছিলাম। ড্রাইভার আমার বাবা নাটক দেখার কথা উল্লেখ করে বলে সে আমার কাছ থেকে ভাড়া নিবে না। আমি জোর করেও ভাড়া দিতে পারিনি। শেষে গাড়িতে বসেই তার সঙ্গে সেলফি তুলতে হয়।’ শুধু নাটক নয়, ইদানীং সিনেমাতে কাজ করারও প্রস্তাব পাচ্ছেন। ব্যাটেবলে না মেলায় কাজ করছেন না বলে জানান তিনি। আগে থেকেই সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছে ছিল কিনা জানতে চাইলে কাজল বলেন, ‘না। আগে থেকে সিনেমায় কাজ করার কোন ইচ্ছে ছিল না। তবে একদিন সিনেমা দেখার সময় হঠাৎ করে সিনেমার বিরতিতে পর্দায় দেখলাম আমার অভিনীত একটি টিভিসি দেখাচ্ছে। সেই টিভিসিতে আমাকে এত সুন্দর দেখাচ্ছে যে, আমি সিদ্ধান্ত নেই সিনেমায় অভিনয় করব।’
সিনেমার নায়িকা হতে চান, কিন্তু নায়িকা হতে কি যোগ্যতা লাগে? এমন প্রশ্নের জবাবে কাজল বলেন, ‘আমি মনে করি শুধু মেকআপ করলেই নায়িকা হওয়া যায় না। নাচ, অভিনয়, সময়ানুবর্তিতা, ধৈর্য এসব অবশ্যই প্রয়োজন।’
জানতে চাইলাম এসব যোগ্যতা কাজলের আছে কিনা? জবাবে হাসতে হাসতেই বললেন, ‘যেহেতু সিনেমায় কাজ করব, সে জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছি। ছোটবেলা থেকেই নাচতে পারি, অভিনয়টাও মোটামুটি জানি। আশা করি সমস্যা হবে না।’
কাজলের সঙ্গে কথা বলা শেষ, কাজল উঠে দাঁড়াবেন-ঠিক এমন সময়ে খল খল করে হেসে বললেন, আরেকটা কথা লিখতে কিন্তু ভুল করবেন না-আমি কিন্তু খুব চঞ্চল!