রোহিঙ্গা হলেও মেয়েটির বিদ্যা অর্জন করাকে আমি মোটেও বিতর্কের চোখে দেখছিনা যদি সে বাংলাদেশের ক্ষতি না করার জন্য বাংলা পড়ালেখা অর্জন করে থাকে।
সে জ্ঞান অর্জন করেছে পৃথিবীকে জানার জন্য। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে পৃথিবীকে জানা পাপ বা দোষের কিছু না।
খুশির মতো আরো অনেক পুরাতন রোহিঙ্গা এদেশে লেখাপড়া করে বড় হয়েছে।
স্বয়ং আমার-আপনার সহপাঠির মধ্যেও অনেকে রয়েছে এ রকম।
একটু কষ্ট করে অনুসন্ধান করলেই হয়তো তাদের খুঁজে পাওয়া আরো সহজ হয়ে উঠবে।
মেয়েটি ভিডিওতে স্বীকার করছে যে, সে রোহিঙ্গা। কিন্তু পুরাতন রোহিঙ্গা হয়েও ভেজাল ছাড়া খাঁটি বাঙালী বলে যারা চালিয়ে যাচ্ছে তারা কেন পার পেয়ে যাচ্ছে বুঝিনা।
আপনি গ্রাম গঞ্জে কিংবা এই শহরের আনাছে কানাছে অনেককে পাবেন রোহিঙ্গা হয়েও এদেশের স্কুল কলেজ শেষ করে নিজেকে একটু শিক্ষিত বানিয়ে আত্মরক্ষার জন্য নিজেকে রাজনীতিতে পর্যন্ত জড়িয়েছে। রাজনৈতিক মিছিল কিংবা জনসভায় তার বাহাদুরী ও সেলফি বাজির কাছে বাংলাদেশীরা কিছুই না। একটু খেয়াল করবেন, বড় বড় নেতার সাথে তাদের উঠা-বসা, নেতার নামে স্লোগান থেকে শুরু করে ঘানি ভাঙ্গা সরিষার দ্বারা নেতার শরীর তৈলাক্ত করার দিক দিয়েও বাদ নেই বাংলাদেশী দাবিদার অনেক রোহিঙ্গা।
সেক্ষেত্রে রহিমা আক্তার ওরফে খুশি তেমন কিছুই নয়।
যাই হোক, এদেশ মানবতার দেশ। মানবতার কাতিরে অনেক সহ্য করি আমরা। ১২ লক্ষ রোহিঙ্গার ভর সহ্য করতে পারলে একজন রোহিঙ্গা খুশির ভর কেন সহ্য করতে পারবো না?
সে তো জ্ঞান অর্জন করতে চেয়েছে মাত্র, আমার জানা মতে বাংলাদেশকে কোন হুমকি দেয় নাই সে। যদি হুমকি দিয়ে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যদি সে রকম কিছু না ঘটে তবে খুশিকে একটু খুশিতে বাঁচতে দিন।
নিজের একটি মতামত শেয়ার করলাম মাত্র,
কারো মনে কষ্ট দেয়ার জন্য নয়।
ধন্যবাদ
তারেকুর রহমান ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : সরোয়ার আজম মানিক, সম্পাদক ও প্রকাশক : মনছুর আলম,
অফিস : হোটেল আল-আমিন কমপ্লেক্স, ৩য় তলা (দৈনিক মেহেদী ) মেইন রোড,, কক্সবাজার।