• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন

হিন্দুদের প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সহায়তা চায় মিয়ানমার

নিউজ রুম / ১৯৭ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ডেস্কঃ মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও দোসরদের নির্যাতনে প্রাণভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা হিন্দুদের প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে মিয়ানমার সরকার। গত বুধবার দেশটির রাজধানী নেপিদোতে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন স্ক্র্যানার বার্গনারের সঙ্গে বৈঠকের সময় দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী ইউ কিয়াও তিন এ সহযোগিতা চান। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সেনা অভিযান শুরুর পর লাখ লাখ মুসলমানের পাশাপাশি প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা হিন্দু বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

মিয়ানমারের ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক চ্যান আয়ের বরাত দিয়ে মিয়ানমার টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া আট শতাধিক হিন্দু পরিবারের মধ্যে চার শতাধিক পরিবারের নাগরিকত্ব যাচাই করেছে মিয়ানমার সরকার। এই পরিবারগুলো স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরতে চেয়েছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য গত বুধবার তিন দিনের সফরে মিয়ানমার যান বিশেষ দূত স্ক্র্যানার। মিয়ানমারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই অভিযোগ করে দেশটিতে ফিরতে রোহিঙ্গারা অনীহা প্রকাশ করায় গত মাসে দ্বিতীয় দফায় প্রত্যাবাসন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। রোহিঙ্গাদের দাবি, প্রত্যাবাসনের আগে তাদের নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট আশ্বাস বা ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরির জন্য বাংলাদেশকে দুষছে দেশটি।

রোহিঙ্গা হিন্দুদের প্রত্যাবাসন না হওয়ার পেছনেও বাংলাদেশের ব্যর্থতা দেখছে মিয়ানমার। সেদিকে ইঙ্গিত দিয়েই চ্যান আয়ে বলেন, ‘কেবল জাতিসংঘ দূতই নন; জাপান, চীন ও ভারত হিন্দু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সরকার তাদের প্রতি যত্নশীল নয়।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ