কুমিল্লা যেতে তিনটি সেতু পাড়ি দেই। যমুনা সেতুর মাধ্যমে উত্তরের মানুষের স্বপ্ন পূরন হয়েছে। এবার হয়েছে পদ্মা সেতু, স্বপ্ন পূরন হবে দক্ষিনের মানুষের। জেনারেল এরশাদ বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ সরকারের আমলে দেশের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় সেতুগুলো নির্মিত হয়েছে। আয় ব্যয় চুরি পাচার দূর্নীতির কিচ্ছায় না গিয়ে তাঁদের প্রশংসা করতে চাই। সরকারের কাজ জনগণের সেবা দেয়া, জনগণের জন্য কাজ করাই তাদের শপথ। স্বার্থের রাজনীতির কারনে জাতি বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন কেউ আর কাউকে সম্মান করেনা।
বিএনপি সরকারের আমলে হয়েছে যমুনা বহুমূখী সেতু, পরে নাম পাল্টে গেছে। দল তখন ক্ষমতায়, একটা উদ্বোধনী আয়োজনেই সীমাবদ্ধ ছিল সবকিছু। কোন গান তৈরী হয়নি, আমিও কোন গান গাইনি। একটা সেতু নিয়ে গান গাওয়ার কোন যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করিনা। আওয়ামীলীগ ফূর্তিবাজ সরকার, তারা খেলাধুলা আর গানবাজনা পছন্দ করে বলেই হয়তো আয়োজন একটু বেশী। এতে দোষের কিছু নেই, অর্জন সেলিব্রেট করলে উৎসাহ বাড়ে। পদ্মা সেতু সেই হিসেবে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সেরা অর্জন। এই সরকারের নির্বাচিত হওয়ার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হলেও পদ্মা সেতুর জন্য অবশ্যই অভিনন্দন পাবার যোগ্য। অভিনন্দন জানাই। আশা করছি আওয়ামী সরকার নতুন নতুন স্থাপনা তৈরী করে তাদের পছন্দমত নাম দিবে, অন্য সরকারের তৈরী করা স্থাপনাগুলোর নাম বদলে ফেলার অসুস্থ্য সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসবে। দ্রুততম সময়ে পুরনো স্থাপনাগুলোর আগের নাম ফিরিয়ে দিয়ে স্মার্টনেস দেখাবে।
দেশের যে কোন কাজের অংশীদার হতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমাদের শিল্পীরা পদ্মাসেতু নিয়ে গাইছেন, একটা উৎসব উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। আমি পদ্মা সেতু নিয়ে কোন গান গাইনি। গাইতে পারলে ভালও লাগতো, যদিও এখন গাইলে যথারীতি তৈলমর্দনের তালিকায় ঢুকে যাবে নাম। আমি কোনভাবেই তৈলাক্ত আইটেম নই। কোন এক ক্লোন গায়ক মান্না বাবু’র কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই- এই গানটি প্যারোডী করে গানের কথায় পদ্মা সেতুর নাম বসিয়ে দিয়েছে। গায়ক হিসেবে ব্যবহার করেছে আমার নাম। হিরোভক্ত দূর্ধর্ষ নেটিজেনরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, গত তিনদিন এই প্রশ্নে জীবনটা তামা তামা হয়ে গেল। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। এতোদিন ফেসবুক মোবাইলে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিতো। এখন ডিরেক্ট আমার কন্ঠই ক্লোন করে ফেললো, কোনদিন রাস্তায় নিজের আরেক চেহারাকে সালাম দিতে হবে সেই টেনশনে আছি। যারা জেনুইন শ্রোতা তারা আমার কন্ঠ চেনেন, ধন্যবাদ। আমার আওয়ামী বন্ধুবান্ধবরা খুব খুশী হয়েছিল, তারা ভেবেছে রামের সুমতি হয়েছে, অনেকে ইনবক্সে বার্তাও পাঠিয়েছে। আফসোস তাদেরও হতাশ হতে হলো। পদ্মা সেতুর আলোয় আলোকিত হোক দক্ষিনের সব জনপদ, আলোকিত হউক বাংলাদেশ।
ভালবাসা অবিরাম…
হুবুহু আসিফের ভেরিফাই ফেইজবুক ফেইজ থেকে নেওয়া
উপদেষ্টা সম্পাদক : সরোয়ার আজম মানিক, সম্পাদক ও প্রকাশক : মনছুর আলম,
অফিস : হোটেল আল-আমিন কমপ্লেক্স, ৩য় তলা (দৈনিক মেহেদী ) মেইন রোড,, কক্সবাজার।