চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় এক গৃহবধূকে বাসে তুলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রবিবার রাতে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাসচালক নুরুল আলম (৩২), তাঁর দুই সহযোগী মোহাম্মদ রবিউল হক (২৪) ও মোহাম্মদ শাহজাহান (২২)। তাঁরা ফটিকছড়ি ও বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ কয়েক দিন আগে
রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় এক জুতার দোকানে গিয়ে জুতা কেনার জন্য পছন্দ করে কিছু টাকা অগ্রিম দিয়ে এসেছিলেন। পরে তিনি জুতা কেনার জন্য গেলে দোকানদারের সঙ্গে তাঁর তর্ক হয়। একপর্যায়ে ওই দোকানদার তাঁকে মারধর করেন।
ওই গৃহবধূ স্বামীর সঙ্গে ডবলমুরিং থানা এলাকায় থাকেন। মারধরের পর তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এরপর ওই জুতা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেন। মামলার বিষয়ে পরামর্শের জন্য গত শনিবার তিনি তাঁর চাচার বাসা বায়েজিদ বোস্তামী থানার ছিন্নমূল এলাকায় যান। ওই দিন দুপুরে চাচার বাসা থেকে বের হয়ে আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে অক্সিজেন মোড় এলাকায় পৌঁছলে বাসচালক গৃহবধূকে কোথায় যাবেন জানতে চান। জবাবে গৃহবধূ আদালতে যাবেন বলে জানান। এরপর বাসটি আদালতে যাবে বলে কৌশলে তাঁকে বাসে তুলে নেওয়া হয়। ওই বাসে কোনো যাত্রী ছিল না। চালক ও সহযোগীরা ছিলেন।
এরপর অক্সিজেন মোড় থেকে কিছুটা সামনে গিয়ে বাসের দরজা বন্ধ করে গৃহবধূকে দুজন মিলে ধর্ষণ করেন এবং অন্য দুজন ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ধর্ষণের পর গৃহবধূকে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি অক্সিজেন মোড়ে গিয়ে একজন ট্রাফিক সার্জেন্টকে বিষয়টি জানান। ওই সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট বাসের হেলপারকে আটক করেন এবং বাসটি জব্দ করেন।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে থানায় চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাজু নামের আরেকজন আসামি এখনো পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গৃহবধূকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।