• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন

যাতায়াতে দুর্ভোগ : পালংখালীতে রাস্তা দাবি ২০ পরিবারের

নুরুল বশর, উখিয়া / ১০ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ২৬ জুন, ২০২২

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গয়ালমারা এলাকায় যাতায়াতের রাস্তার অভাবে চরম দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে জীবনযাপন করছে অন্তত ২০টি পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এ পরিবারগুলো।

রোববার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গয়ালমারাস্থ নাজির হোসেনের ঘোনায় যাতায়াতের রাস্তার দাবিতে পথে নেমেছেন তারা।

কক্সবাজার-টেকনাফ প্রধান সড়ক ঘেঁষে গয়ালমারা এলাকা থেকে পূর্ব দিকে পুটিবনিয়া পর্যন্ত রাস্তার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

জানা গেছে, যুগ যুগ ধরে ওই এলাকায় (নাজির হোসেন ঘোনা) বসবাস করে আসছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। কিন্তু, একটি নির্দিষ্ট রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। আগে হাঁটাচলার মতো একটি পথ থাকলেও গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সে সুযোগ হারিয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা।

এ নিয়ে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আনোয়ারা বেগম (৫৫) নামের এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় বিবাদী করা হয় প্রতিবেশী মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আবু রাহাব উদ্দিনকে (৫২)।

ওই সময়ে এ ঘটনায় এলাকাবাসী আরো একটি লিখিত অভিযোগ স্থানীয় চেয়ারম্যান বরাবর দিয়েছিলেন। তাতে উল্লেখ করা হয় আবু রাহাব উদ্দিন নামের ওই ব্যক্তি জোরপূর্বক যাতায়াতের রাস্তাটি বন্ধ করে দেন।

অভিযোগপত্রগুলোতে দেখা গেছে, তাদের (ভুক্তভোগী) প্রতিবেশী আবু রাহাব উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুই বছর আগে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে চলাচলের রাস্তায় সম্প্রতি একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

ওই এলাকার বাসিন্দা আইয়ুবুল ইসলাম, বক্তার আহমদ, মোঃ ফরহাদ হোসেন, আবুল কশেম, রশিদা বেগম, রাজিয়া বেগম, ফাতেমা বেগমসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, সর্বসাধারণের যাতায়াতের রাস্তায় এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘর নির্মাণ করে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

তারা বলেন, রাস্তার অভাবে ছেলেমেয়েরা স্কুল-মাদ্রাসায় ঠিকভাবে যেতে পারে না। খাল-বিল পেরিয়ে যেতে হয়। বাড়িতে আত্মীয়স্বজন কিংবা কোনো অতিথি আসতে পারেন না রাস্তা না থাকার কারণে। কোনো মানুষ মারা গেলে মরদেহ নিয়ে যেতেও ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

বর্ষাকালে যাতায়াতে বেশি কষ্ট হয় বলে জানিয়েছেন তারা। তারা বলছেন, কতৃপক্ষের কাছে ভাত-পানি চাই না, আমরা রাস্তা চাই। রাস্তা পেতে নারী-পুরুষ-শিশুরা পথে নেমে দাবি জানান।

এ বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন, আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ওখানে একটি মহল রাস্তার জন্য জায়গা দিতে চায় না। যার কারণে রাস্তাটি করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ওই এলাকার যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে একটিতে অভিযোগ পেয়েছিলাম। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। সম্প্রতি শুনেছি স্থানীয় জনৈক ব্যক্তি রাস্তার জন্য জায়গা দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে সরেজমিনে পরিদর্শন করে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ