মোঃ নাজমুল হুদা, লামা,(বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
বান্দবানের লামায় ঝুঁকিপূর্ণ আলিয়া এতিমখানা ক্রাফট ট্রেনিং সেন্টার ভবন নিরাপত্তাহীন শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝূকি নিয়ে ক্লাস করছে লামা আলিয়া এতিমখানা ক্রাফট ট্রেনিং সেন্টারের কোমলমতি এতিম শিক্ষার্থীরা। আলিয়া এতিমখানা ক্রাফট ট্রেনিং সেন্টারের একমাত্র ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ধসে যাওয়ার আতংক মাথায় নিয়েই ক্রাফট ট্রেনিং সময় পার করতে হচ্ছে শতাধিক শিক্ষার্থীদের। যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনায় মৃত্যুও হতে পারে তাদের এমন ভয়তো রয়েছেই।
এমনই চিত্র বান্দরবানের লামা পৌরশহরের
( ২নং ওয়ার্ড) এর একমাত্র প্রতিষ্ঠান আলিয়া এতিমখানা ক্রাফট ট্রেনিং সেন্টার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় শিক্ষার্থীরা ভবন ধসে পড়ার আশংকায় এই গরমেও ফ্যান ব্যবহার করতে পারছেনা। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাঁদ দিয়ে পানি পড়ে ক্লাস রুমে। দরজা জানালা ভাঙ্গা, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। দেয়াল ও ছাদের অাস্তর খসে পড়ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গায়ে। এতিমখানার এমন নাজুক অবস্হারর পরও কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করেনি। আর বিকল্প কোন ব্যবস্থা বা ভবন না থাকায় ঐ জরাজীর্ণ ভবনেই বাধ্য হয়েই জীবনের ঝূকি নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
১৯৮৬ সালে নির্মিত লামা আলিয়া এতিমখানা ক্রাফট ট্রেনিং সেন্টার ভবন এ ভবন ৩৩ বছরেই জারাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটি যে কোন সময় ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
লামা আলিয়া এতিমখানা ক্রাফট ট্রেনিং সেন্টারের শিক্ষক আব্দুল সোহেল জানান, আলিয়া এতিমখানা ক্রাফট ট্রেনিং সেন্টারটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্হায় আছে। ভয়ে ভয়ে ক্রাফট ক্লাস করতে হয়। এই ক্রাফট ট্রেনিং সেন্টারে ১২০জন এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে, দিন দিন ক্রাফট ট্রেনিং সেন্টার থেকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি হ্রাস পাওয়ার কথা হলেও কিন্তুু তাদের তো বাড়ীঘর সব এই জাগায় এতিম অসহায় শিক্ষার্থী যাবার কোন রাস্তা নাই। এদিকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না থাকায় এ অবস্হায় শিক্ষাথীদের নিয়ে বিকল্প উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাবো তাও পারছিনা। প্রধান শিক্ষক আরোও বলেন পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙ্গা ও অনেকটা সাপ ফোঁকার দখলে থাকা ঘরে রান্না করে খাওয়াতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, দ্রত আলিয়া এতিমখানা ক্রফট ট্রেনিং সেন্টার ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষনা করে নতুন ভবন নির্মানের ব্যবস্থা করা হোক, আর যে পর্যন্ত নতুন না হবে সে পর্যন্ত বিকল্প কোন ব্যবস্হা করে ক্রফট ক্লাস পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হোক।
এ ব্যাপারে আলিয়া এতিমখানা ক্রফট ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালনা পরিষদের সন্মানিত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লামা উপজেলা আওয়ামী লীগ শেখ মাহাবুবুর রহমান জানান, যেহেতু এই প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর অধীনে সেহেতু আমি এই বিষয়ে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব বীর বাহাদুর উশৈসিং এম,পি মহোদয়েরর কাছে লিখিত দরখাস্ত জমা দিয়েছিলাম। তিনি (মন্ত্রী) আন্তরিকতার সাথে দরখাস্তে সুপারিশ স্বাক্ষর করে, আমি নিজেই পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নায়ন বোর্ড জমা দিয়েছিলাম এখনো কোন খোঁজ-খবর নাই। তবে আমার বিশ্বাস মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি, অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে। এই বিষয়ে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামান জানান, আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।