এম.কলিম উল্লাহঃ
উখিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী কর্তৃক সেবার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায় উখিয়ার ডিগলিয়া পালং নিবাসী সাব্বির আহমদের বাড়িতে গত দুইমাস আগে বাড়ির দেয়াল ধ্বসে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে তথা স্থানে অবস্থানরত বৈদ্যুতিক মিটারটির স্থানান্তর করার প্রয়োজন দেখা দেয়, সাব্বির আহমদ মিটারের কাগজপত্র নিয়ে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে মিটার স্থানান্তর ফি বাবদ ৫০০ টাকা জমা দিয়ে মিটার স্থানান্তর করার আবেদন করেন।
আবেদন জমা দেওয়ার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও মিটার স্থানান্তর করা হয়নি। এমনকি, কর্তৃপক্ষ দেখতে ও আসেননি।
ভুক্তভোগী সাব্বির আহমদ বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ফের অভিযোগ করলে,একজন লাইনম্যানকে হোম বিজিট করতে পাঠানো হয়।সে হোম বিজিট করে টাকা দাবি করলে, ভুক্তভোগী অফিসে গিয়ে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এতে লাইনম্যান চরমভাবে রেগে যায়। একপর্যায়ে অফিসে নেগেটিভ রিপোর্ট দিবেন বলেও হুমকি প্রদান করেন সাব্বির আহমেদকে।
পরবর্তী আরো পনেরো দিন গত হলেও কোনো প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ দেখতে না পেয়ে, পুনরায় অফিসে গিয়ে অবগত করলে, তারা তিনদিন পর যোগাযোগ করার কথা বলেন।
পরবর্তী তিনদিন পর যোগাযোগ করলে অফিস কর্তৃপক্ষ গ্রাহক সাব্বির আহমদের সাথে একজন লাইনম্যানকে পাঠান। লাইনম্যান উখিয়া এসে সাব্বির আহমেদের কাছ থেকে গাড়ির তৈল খরচ বাবত ৫০০ টাকা এবং তার নিজস্ব খরচ বাবত ১০০০ টাকা দাবি করে বসেন।
কিন্তু,ভুক্তভোগী সাব্বির আহমেদ লাইনম্যানের খায়েশ পূরণ করতে না পারায় হোম বিজিট না করেই অফিসে ফিরে যান লাইনম্যান।
অসহায় সাব্বির আহমদ পুনরায় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে লাইনম্যানকে টাকা দেওয়ার ব্যপারে অভিযোগ করলে অফিস কর্তৃপক্ষ বলেন,লাইনম্যানকে কোনো ধরণের টাকা দিতে হয় না বলেও সাফ জানিয়ে দেন।
সাব্বির আহমেদের মতো ভুক্তভোগী অনেক গ্রাহক উখিয়া পল্লী বিদ্যুতের সেবার নামে হয়রানি শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান।
এ ব্যাপারে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি ছৈয়দ হোছাইনের সাথে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।