• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

অভাবনীয় অগ্রযাত্রা ও শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে শহীদ আব্দুল হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

নিউজ রুম / ২৭৮ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৯

মোঃ নাজমুল হুদা,লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার জেলায় চকরিয়া উপজেলার দূর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চল বমু বিলছড়ি ইউনিয়নে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

অফিস সূত্রে জানায়,বর্ণিত বিদ্যালয়টি ২০১৪ ইং সাল হতে ঈর্শনীয় অগ্রগতি ও শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে এ জনপদে। শিক্ষা ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন সহ-পাঠক্রমিক ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে। চকরিয়ার বমু বিলছড়ি প্রত্যন্ত ইউনিয়নে এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী জমিদার শ্রেণির লোকজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে। স্কুলের জন্য প্রথম সম্পত্তিদাতা হচ্ছেন পার্শ্ববর্তী জমিদার হাজী মরহুম ছিদ্দিক আহমদ ও ব্যাংকার এজাহার সাহেব। দুজনের দান করা সম্পত্তির পরিমাণ ৬০ (ষাট) শতক। বিদ্যালয়ের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ৬০ শতক। ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম বমুরকুলে শুরু হওয়ার পর মাঝখানে বিভিন্ন কারনে কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

আবার, ২০১০ সাল থেকে বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী প্রচেষ্ঠায় পুনরায় চালু হয়। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৪ সালে নিম্ন মাধ্যমিক স্থরের পাঠদান। বছর খানিকপর বর্তমানে বমু পানিস্যাবিলে একাডেমিক স্থানে স্থান্তরিত হয়। এক্ষেত্রে ২০১৭ সালে একাডেমিক স্বাীকৃতি লাভ,২০১৮ সালে মাধ্যমিকে উন্নতিকরণ,এই বছরে চারতলা ডিজিটাল ভবন অনুমোদিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল মোস্তফা দায়িত্ব নেওয়ার থেকে বিদ্যালয়টির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতেছে বলে মন্তব্য করেন অনেকেই।

এলাকার প্রবীন মুরব্বী মোঃ আলী মেম্বার বলেন, এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে অনেক ছাত্র রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে শিক্ষার আলোকিত মানুষে পরিণত করছে।

সরেজমিনে জানা যায়, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে সেমিপাকা টিনসেটে ভবন ও ২টি টিনশেড ঘরে ১০টি শ্রেণিকক্ষে ৭ জন শিক্ষক, ১ জন অফিস সহকারি ও ১ জন অফিস সহায়ক কর্মরত রয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই হাজার ৪০০ (চারশত) জন। বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার দিক থেকে এটি একটি সক্রিয় বিদ্যালয় (এক্টিভ স্কুল) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব ও সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন সমালোচনার ঊর্ধ্বে থেকে সুষ্ঠুভাবে ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং বর্তমানে কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দৈনন্দিন রুটিন কাজ করার জন্য ৬ মাসের জন্য একটি নামে মাত্র এ্যাডহক গঠিত হয়েছে।

বিদ্যালয়টি জেএসসি ও এসএসসিতে প্রতিবছর সন্তোষজনক ফলাফলের পাশাপাশি গৌরব অর্জন করছে। এছাড়াও রয়েছে সমৃদ্ধ পাঠাগার এবং ইউনিয়নের অন্যতম বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন খেলার মাঠ। বিদ্যালয়টিতে শ্রেণিকক্ষের সংকট প্রকট। টিনশেড ঘরগুলো জরাজীর্ণ হওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। পাশে অনুমোদিত (চারতলা ফাউন্ডেশনের) একাডেমিক ভবনটির নিমার্ণ কার্যক্রম সম্পূর্ন হলে শিক্ষা বিস্তারে এলাকায় সম্পদে পরিণত হবে।

চকরিয়ার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রতন বিশ্বাস বলেন,এ রকম একটি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে ভবন পাওয়া বিশাল ব্যাপার। এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি অত্র অঞ্চলে বিদ্যালয়টি শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক অবদান রাখবে।

স্থানীয় বমু বিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব জানান, ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও এলাকার শিক্ষানুরাগীদের সহযোগিতায় শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে বিদ্যালয়টি জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে চলছে। বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণের জন্য শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ