কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টাকা গণনা শেষে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিন মাস ২০ দিন পর শনিবার পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়।কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে গণনার কাজ শুরু হয়।
রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার দুই শতাধিক আলেম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গণনায় অংশ নেন।
পাগলা মসজিদে আগে আটটি দানবাক্স থাকলেও এবার একটি বাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দানবাক্সের সংখ্যা এখন ৯।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি বলেন, সর্বশেষ ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় রেকর্ড পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।
দান থেকে পাওয়া অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এ ছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এই টাকা থেকে।