ব্যক্তিগত গাড়ি চালকদের মধ্যে একটি অংশ লোভে পড়ে অপহরণ চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। উত্তরার হাসিবুর রহমান হিমেল অপহরণের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে গোয়ান্দারা।
শনিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি জানান, মূলত লোভে পড়েই এক ইঞ্জিনিয়ারের যোগাসাজসে হিমেলকে অপহরণের পরিকল্পনা করে তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছামিদুল। পরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার ইউপি চেয়ারম্যান মামুনের সঙ্গে বৈঠক করে ফাঁদ পেতে হিমেলকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। পরে তাকে মেঘালয় সীমান্তে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতিবেশী দেশের কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।
অপহরণ চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মামুন, হানিফ বাবুর্চি, ড্রাইভার ছামিদুলসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে অপহৃত হিমেলকেও উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর উত্তরার বাসা থেকে বেরিয়ে ড্রাইভার সামিদুল সহ নিখোঁজ হন হিমেল। শেরপুরের উদ্দেশে তারা বের হয়েছিলেন বলে জানা যায়। পরে তাদের খোঁজাখুঁজি করে না পেলে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন হিমেলের মা তহুরা হক। অপহরণের প্রায় এক মাস পর সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।