টেকনাফের বাহারছড়া এলাকার আতা উল্লাহ (প্রকাশ আতাইয়া) এর বিরুদ্ধে বসত ঘরে ডুকে গরু চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে গত রবিবার রাত ১২ ঘটিকার সময় বাড়িতে গিয়ে গরুর গোয়াল ঘরে ঢুকে ৪টি গরুর মধ্যে ৩টি গরুর রশি খুলে দিয়ে সবচেয়ে বড় গরুটি চুরি করে নিয়ে যাওয়া অভিযোগ উঠেছে।
তাঁর বিরুদ্ধে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রে অত্র ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাইন্যা পাড়া এলাকার মৃত আব্দু সালার ছেলে আব্দুল মান্নানের বসত ঘরে ডুকে গরু চুরির অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী এলাকার মৃত মকবুল আলীর ছেলে আতা উল্লাহ (প্রকাশ আতাইয়া) একজন চোর ও সন্ত্রাস প্রকৃতির লোক হয়। বিগত ররিবার (১৯ মে) রাত ১২ ঘটিকার সময় আতা উল্লাহ (প্রকাশ আতাইয়া) আমার বাড়িতে গিয়ে আমার গরুর গোয়াল ঘরে ঢুকে ৪টি গরুর মধ্যে ৩টি গরুর রশি খুলে দিয়ে সবচেয়ে বড় যে গরুটি ছিল সে গরু চুরি করে নিয়ে যায়। পরে আমরা গরুর আওয়াজ শুনে বের হলে দেখি গোয়াল ঘরে একটিও গরু নেই। আমরা সারারাত গরুগুলো খুঁজার পর অবশেষে সকাল বেলায় ৩টি গরু খুঁজে পেতে সক্ষম হয় এবং ১টি গরু খুঁজে পায়নি। আতা উল্লাহ (প্রকাশ আতাইয়া) সেই রাতে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গোয়াল ঘরের পাশে তার একটি সেন্ডেল ফেলে রেখে চলে যায়। সেন্ডেলটি কার সেটা খুঁজতে বের হলে, বের হয়ে আসে আতা উল্লাহ (প্রকাশ আতাইয়া) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গরু চুরি হওয়ার একদিন পূর্বে আতা উল্লাহ (প্রকাশ আতাইয়া) নাকি একজন ড্রাইভারের সাথে গরু নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতেছিল। তাদের পুরো কথা আমার স্ত্রীর ভাই শুনেছিল। গরু চুরি হলে বুঝতে পারি যে, আতা উল্লাহ (প্রকাশ আতাইয়া) গরুটি চুরি করেছে। আমরা সাথে সাথে উক্ত ড্রাইভারের সাথে যোগাযোগ করি। ড্রাইভার উপরোক্ত চোরির বিষয়ে আমাদের তথ্য দেয় এবং গরু চোরিটি আতা উল্লাহ (প্রকাশ আতাইয়া) করেছে বলে জানাই। কিন্তু সেদিন উক্ত ড্রাইভার সে গরুর ভাড়াটি নিতে যায়নি বলে আমাদের স্বীকার করেন। পরিশেষে আমরা প্রায় ৪/৫ দিন গরু খুঁজার পর সর্বশেষ উত্তর শিলখালী চিতার পাশে চুরিকৃত গরুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আতা উল্লাহ (প্রকাশ আতাইয়া) গরুটিকে অত্যন্ত মারধর করেছে। গরুর ২টি শিং ভেঙ্গে দিয়েছে। গরুটি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এই ৪/৫ দিনে গরুটি খুঁজতে আমার প্রায় ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা খরচ হয়ে গেছে। আমি গরীবের পক্ষে এই টাকাগুলো উপার্জন করতে অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমার টাকা উপার্জনের একমাত্র সম্ভল হচ্ছে এই গরুগুলো। অনেক কষ্ট করে গরুগুলোকে লালন পালন করে বড় করে বিক্রি করে জীবন অতিবাহিত করে আসছি। আতা উল্লাহ (প্রকাশ আতাইয়া) পূর্বেও আমার বাড়ির পাশের ঘর থেকে গরু চুরি করেছিল। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার চোরি, সন্ত্রাসীর অভিযোগ আছে।