ইসলামপুরে হুন্ডি মিজানের অত্যাচারে ঘরছাড়া মা দিল আরা’র সংবাদ সম্মেলন
শাহেদ মোস্তাফা শাহিদ,
কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর ইউনিয়নের নাপিতখালী গ্রামের বাসিন্দা ও ৬ সন্তানের জননী দিল আরা। বয়স ষাটোর্ধ্ব। স্বামী মতিউর রহমান মারা গেছেন ৭ বছর আছে। দিল আরার স্বামী মতিউর মারা যাওয়ার পূর্বে তার বিষয় সম্পত্তির সবকিছু ভাগ করে দিয়ে যান স্ত্রী, কন্যা সন্তানদের। এরপর অনেক কষ্টে নিজের মত করে নতুনভাবে সংসার সাজিয়েছেন দিলারা। ভালই কাটছিল স্বামী মারা যাওয়ার পরবর্তী ৬ মাস । বছরের মাথায় প্রতিবেশী ও কন্যাদের নিকট থেকে ধারদেনা করে বড় ছেলে মিজানকে বিয়েও দেন। এরপর থেকে দুঃখ যেন পিছু ছাড়ছেনা দিলারার। নেমে আসে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন। প্রতিবেশীদের সহায়তা ও সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকেও বেঁচে যান বহুবার। নিজের জীবন বাঁচাতে এবং ছেলেরুপী নরপশু মিজানের ভয়ে দিলারা আজ দেড় বছর ধরে ঘরছাড়া। গতকাল ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঈদগাঁও প্রেস ক্লাবে এসে অশ্রুসিক্ত নয়নে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এভাবেই বর্ণনা দিলেন পাষন্ড ছেলে মিজানের গা শিউরে উঠা করুণ কাহিনী। মা দিলারা তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ছেলে মিজান ইসলামপুর ইউনিয়নের নাপিতখালী এসকে ইন্টারন্যাশনাল গ্রামার স্কুল এন্ড মেমোরিয়াল কলেজের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকতার আড়ালে সে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রতিদিন লেনদেন করে থাকে লক্ষ লক্ষ টাকা। দিলারার স্বামী ও মিজানের বাবার রেখে যাওয়া সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সে একাই ভোগ করছে। গত ৬ বছর ধরে মায়ের ভরণ পোষন তো দূরের কথা, উল্টো শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনে জর্জরিত হয়েছে দিলারা অসংখ্যবার। কথায় কথায় অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজতো আছেই। চিৎ করে শুইয়ে ধারালো দা দিয়ে মাকে হত্যা করতে চেয়েছে শিক্ষক নামধারী মিজান ৪ বার। প্রতিবেশীদের সহায়তা ও ছেলের নিকট জীবন ভিক্ষা চেয়ে কোনমতে বেঁচে আছেন দিলারা আজতক। প্রতিকার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন এলাকার সমাজপতি থেকে জনপ্রতিনিধি ও প্রসাশনের বিভিন্নজনের নিকট। মিজান তাদের সামনে মায়ের ভরণ-পোষণ ঠিকমত চালানোর অঙ্গীকার করলেও ঘরে গিয়ে আবার পুরোনো কায়দায় একই আচরন শুরু করে। স্বামীর বসতবাড়ী ছেড়ে তাই দিল আরা বেগমের এখন ঠাঁই হয়েছে তৃতীয় কন্যা রোকসানার ঘরে। তার ঘরে আজ দেড় বছর ধরে আছেন নির্যাতিতা দিল আরা। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট দিল আরার একটাই আবেদন সে যেন তার নিজের হাতে সাজানো বাগানে ফিরে গিয়ে স্বামীর ভিটেমাটিতে শেষ নিংশ্বাস ত্যাগ করতে পারেন