নিজস্ব সংবাদদাতা,মহেশখালীঃ
মহেশখালী উপজেলার উত্তর প্রান্তের কালারমারছড়া ইউনিয়নে মূর্তিমান আতংকের একটি নাম এখন সবার মুখে মুখে। নাম শুনলেই আতংকে উঠেন,ব্যবসায়ী,সুশীল সমাজ,রাজনীতিবিদ এমন কি স্থানিয় বাসিন্দারাও। তিনি আর কেউ নন, উপজেলার কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর টু আইসি এএস আই জাহাঙ্গীর আলম।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর এক’শ গজের মধ্যে বাজার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর, রশিদ বাহিনীর প্রধান রশিদ, জমির উদ্দিন ও রবিউল আলমের কাছ থেকে মাসিক মাসোহারা নেওয়া তাঁদেরকে গ্রেফতার করছেনা তিনি। ফলে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। এছাড়া তিনি যোগদানের পর থেকে তুলনামুলক পুলিশ ফাঁড়ীতে দালালদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানিয় লোকজনের ভাষ্যমতে, এএস.আই জাহাঙ্গীর আলম কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীতে যোগদান করার পর প্রথমে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করায় জেলা পুলিশ সুপারের হাত থেকে শ্রেষ্ঠ এ.এস আই এর সম্মানা ক্রেস প্রদান করার নজির রয়েছে। তবে তিনি অন্যান্য অফিসারের চেয়ে দীর্ঘদিন কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীতে দায়িত্ব থাকার সুবাদে বিভিন্ন অপরাধ চক্রের সাথে আঁতাত হয়। তার সুবাদে লোভের বশবর্তী হয়ে তিনি বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে নেমেছেন এমনটা মনে করেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসি।
জানাগেছে, জনতাবাজার গোরকঘাটা সড়কে কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীতে কর্মরত এএস আই জাহাঙ্গীরের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে যানবাহন মালিক, ড্রাইবার, ব্যবসায়ী ও স্থানিয় লোকজন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। তাঁর নেতৃত্বে পুলিশ বেশিভাগই চাঁদাবাজির মুল পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে মহেশখালীতে স্থল পথে প্রবেশদ্বার চালিয়াতলী (বালুর ডেইল) সড়ক।
কিন্তু অভিযোগ উঠেছে এএসআই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে গঠিত পুলিশ ফোর্স তাঁদের দায়িত্ব পালন না করে সড়ক পথে বেপরোয়া চাঁদাবাজি শুরু করে দিয়েছে। জনতাবাজার শাপলারপুর সড়কের বিভিন্ন ব্যবসায়ী জানান, ইতিমধ্যে জাহাঙ্গীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অনন্ত পক্ষে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেছেন বিভিন্ন স্পর্ট থেকে। স্থানিয় চালিয়াতলী ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁর বেপরোয়া চাঁদাবাজি চোখে পড়ার মত। তাঁরা আরও জানান, পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা চালিয়াতলীতে অবস্থান করে থাকে। কালারমারছড়ার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির জানান, তিনি গত বুধবার সকালে বাঁশ ভর্তি একটি পিক আপ কালারমারছড়া বাজারের যাওয়ার সময় ওই সিন্ডিকেটটি চালিয়াতলী স্পটে গাড়ীতে ব্যারিক্যাট দিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকিয়ে রাখে। পরে দরকষাকষি পর ৩ হাজার টাকার বিণিময়ে গাড়ীতে ছেড়ে দেন। এভাবে প্রতিনিয়ত সকাল সন্ধ্যা চাঁবাজির কারনে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানিয় লাকড়ি,বাঁশ ও গাঁছ ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে আসামি ধরার বাহনা দিয়ে এএস আই জাহাঙ্গীর কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীতে যোগদানের পর থেকে সড়কে পুলিশি টহল না দিয়ে আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছেন চাঁদাবাজিতে। তার বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে এলাকার সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। ঠুকনো অপরাধে এলাকায় সম্মানি লোকজন ধরে এনে ফাঁড়িতে আটক রেখে মামলায় জড়িয়ে থানায় সোপর্দ্দ করার হুমকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। তার এসব কাজে স্থানিয় দালাল প্রকৃতির লোক আবুল হোছাইন জড়িত রয়েছে বলে দাবী করেছেন স্থানিয়রা।
এছাড়াও চালিয়াতলী বালি মহল থেকে মাসিক ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে বালি উত্তোলন করতে সহযোগিতা করে যাচ্ছে বালি দস্যুদের। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
ভোক্তাভোগি লোকজন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতা সাংবাদিক কারোদার ধারেন না তিনি। তার খুঁটির জোর কোথায় সচেতন লোকজনের মাঝে এমন প্রশ্নের উদয় হচ্ছে। এছাড়াও কালারমারছড়া ইউনিয়নে মরন নেশা ইয়াবা গ্রামে হিসেবে পরিচিত আধাঁরঘোনা গ্রামে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগ মাথায় নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইয়াবা গড ফাদার সানাউল্লাহ, কালামারছড়া মোঃ শাহ ঘোনা গ্রামের জয়নাল আবেদীন তার ভাই আতিকসহ ডজনখানি পাইকারি ও খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ী।
এসব ব্যবসায়ীরা এএস আই জাহাঙ্গীর আলমকে মাসেহারা দিয়ে উক্ত ব্যবসা অক্ষত রেখেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানাগেছে। তবে ছানাউল্লাহ ইতিমধ্যে কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করেছে আলিশান বাড়ী।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কালারমারছড়া এলাকার বহু চিংড়ি ঘের ও চিংড়ি চাষীদের নানান ধরনের হুমকি ধমকি দিয়ে তাদের কাছ থেকে চাঁদাদাবী করে অব্যাহতভাবে হুমকি দিচ্ছে এএস আই জাহাঙ্গীর আলম! চাঁদা না দিলে বিভিন্ন চিংড়িঘেরের মালিকদের চিংড়িঘের থেকে উৎখাতেরও হুমকি দিচ্ছে পুলিশের ওই গুণধর কর্মকর্তা! পুলিশের এ ধরনের আচরণে কালারমারছড়া এলাকার ঝাপুয়া, উত্তরনলবিলা-চালিয়াতলী, নোনাছড়ি এলাকার অসংখ্য চিংড়ি ঘের মালিক ও চাষীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই পুলিশের ওই কর্মকর্তার সাথে গোপনে দেখা করে চাঁদা দিচ্ছেন বলে গোপন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মহেশখালী থানার ওসি তদন্ত বাবুল আজাদ বলেন, পুলিশের কোন সদস্য যদি চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর চালিয়াতলীতে পুলিশের কোন চেকপোষ্ট নাই।