ডেস্ক,
হত্যা-খুনের রাজনীতি বন্ধ করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার পক্ষে নেই বলে মত দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, ‘মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলতে হবে—এর সঙ্গে আমি একমত নই। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার খেলা বন্ধ করতে হবে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে দেশে মৌলবাদের উত্থান ঘটবে। কারণ অতীতেও এটি হয়েছে।’
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লায় জে এম সেন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার ১৩তম সম্মেলন উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে রাশেদ খান মেনন প্রধান অতিথি ছিলেন।
মেনন বলেন, ‘ভিন্নমতের জন্য পিটিয়ে হত্যা গণতন্ত্রের জন্য ভয়ংকর। একইভাবে মৌলবাদীরা যখন একই কাজ করে সেটা শুধু গণতন্ত্রের জন্য নয়, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য আরও ভয়ংকর। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যা-খুনের রাজনীতি, এটা বন্ধ করতে হবে। তার মানে এই নয়, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আমরা ছাত্র রাজনীতির ফসল। আমি ছাত্র রাজনীতি করেছি। তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু ছাত্র রাজনীতি করেছেন। শেখ হাসিনা ছাত্র রাজনীতি করেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।’
আবরার হত্যাকে বিএনপি-জামায়াত রাজনীতিকরণ করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের প্রতিবাদ স্বাভাবিক। সহপাঠীর জন্য বেদনাবোধ থেকে তারা রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু যখন দেখি বিএনপি-জামায়াত আবরার হত্যাকে রাজনীতিকরণ আর ধর্মীয়করণ করছে, তখন বুঝতে হয় ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। বিএনপি-জামায়াত আবরারকে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রথম শহীদ বলছে। আবরারের মৃত্যুর প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক জানিয়ে বলতে চাই, এই ক্ষুদ্র রাজনীতি যেটা চিরকাল আপনারা করে এসেছেন, সেটা করবেন না।’
ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি আবু হানিফের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, যুব মৈত্রীর সভাপতি কায়সার আলম, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক এস এম আলাউদ্দিন। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সঞ্চালনা করেন ওয়ার্কাস পার্টির চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান।
এর আগে জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাশেদ খান মেনন। পরে সেখান থেকে একটি র্যালি বের করেন নেতাকর্মীরা। র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জে এম সেন হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়
উপদেষ্টা সম্পাদক : সরোয়ার আজম মানিক, সম্পাদক ও প্রকাশক : মনছুর আলম,
অফিস : হোটেল আল-আমিন কমপ্লেক্স, ৩য় তলা (দৈনিক মেহেদী ) মেইন রোড,, কক্সবাজার।