[মোঃ নাজিম উদ্দিন ]
ঝালকাঠি ১৩অক্টোবর ২০১৯ইং: প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়ে অসহায়ের মত ঘুরে বেড়াচ্ছেন ঝালকাঠির আতাউর। বিদেশ থেকে ফেরত এসে টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাকে দেয়া হচ্ছে নানা রকম ভয়ভীতি। টাকা পয়সা খুইয়ে গত দু’বছর ধরে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এমন এক আদম বেপারীর নাম রবীন রহমান। রবিন ঢাকার ৩৪/সি, রোড নং-২, চানমিয়া হাউজিং, মোহম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এর বাসিন্দা ও মৃত আবদুর রহমানের ছেলে। মোহাম্মদপুরের আর জে ট্রেডার্সের মালিক বলেও জানিয়েছেন আতাউর।
এক মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্রধরে আতাউরকে ভাল বেতন ভাতার আশ্বাস দিয়ে পাপুয়া নিউগিনি নেয়ার প্রস্তাব দেন। কিছুদিন পরে তাকে নিউগিনিতে নিয়ে যান। সেখানে রবীন রহমানের পাইপোন হোং লিমিটেড নামে একটি কোম্পানীতে কাজ করেন আতাউর । এক পর্যায়ে আতাউরের ভিসা বাতিল হয়ে যায়। তখন আতাউর রবীন রহমানের স্মরনাপন্ন হন। তখন রবীন আতাউরকে নতুন কোম্পানী খুলে পুনুরায় পাপুয়া নিউগিনি নিয়ে আসার প্রলোভন দেখিয়ে অল্প ক’দিনের মধ্যে দেশে পাঠিয়ে দেন। পুনরায় নেয়ার জন্য রবিনের সাথে যোগাযোগ করলে আতাউরকে নেই নিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছে। অন্যদিকে তাকে ভয়ভীতি ও হুমকিও দিচ্ছে।
ঝালকাঠি শহরের ডাক্তারপট্টির বাসিন্দা আতাউর রহমান। এ ব্যাপারে বিচার চেয়ে পুলিশের ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আতাউর জানায়, গত বছর মে মাসে ঐ কোম্পানীতে তার পাওনা বকেয়া বেতন ছাড়া তাকে দেশে পাঠিয়ে দেন।
পুনরায় পাপুয়া নিউগিনি যাবার জন্য রবিন রহমানকে গত বছর জুলাই মাসে ১১ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু রবীন র্দীর্ঘ সময় পার হবার পরেও তাকে বিদেশ নিচ্ছেনা। বর্তমানে আতাউর আদম ব্যাপারী রবীনের খপ্পড়ে পড়ে সব কিছু খুইয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ ব্যাপারে রবিনের ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপদেষ্টা সম্পাদক : সরোয়ার আজম মানিক, সম্পাদক ও প্রকাশক : মনছুর আলম,
অফিস : হোটেল আল-আমিন কমপ্লেক্স, ৩য় তলা (দৈনিক মেহেদী ) মেইন রোড,, কক্সবাজার।